ঢাকা     রোববার   ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ১৪ ১৪৩১

অর্থ লোপাট: পরিবার পরিকল্পনার ২ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৩২, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৭:৪১, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
অর্থ লোপাট: পরিবার পরিকল্পনার ২ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ

দুর্নীতি দমন কমিশনের লোগো

ওয়ার্কশপ, সেমিনার ও প্রশিক্ষণের নামে ভুয়া বিল দেখিয়ে ৭ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ অনুসন্ধানে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের দুই উপ-পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত সংস্থাটির উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বেশকিছু রেকর্ডপত্র মিলেছে বলে জানা গেছে। 

গত ৩ সেপ্টেম্বর তাদের তলব করে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তারা হলেন- পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (পিএম) জাকিয়া আখতার ও উপপরিচালক (স্থানীয় সংগ্রহ) আবু তাহের মো. সানাউল্লাহ নূরী।

আরো পড়ুন:

এছাড়া ওই প্রতিষ্ঠানের সহকারী পরিচালক এ কে এম রোকনুজ্জামান ও গবেষণা কর্মকর্তা পীযূষ কান্তি দত্তকে ১৪ এবং পরিচালক (আইইএম) ড. আশরাফুন্নেছাকে ১৫ সেপ্টেম্বর জিজ্ঞাসাবাদ করা কথা রয়েছে।

এর আগে সংস্থাটির অনুসন্ধান কর্মকর্তা সুকর্ন  ইন্টারন্যাশনালের মালিক ফাইজুল হককে গত ২৬ আগস্ট জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মেসার্স রুহী এন্টারপ্রাইজের মালিক মোশতাক আহমেদ রুহীকে তলব করা হলেও তিনি হাজির হননি। 

অভিযোগের বিষয়ে দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আইইএম ইউনিট’র সারাদেশে ৪৮৬টি ওয়ার্কশপ ও সেমিনার আয়োজন করে। কর্মশালায় অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মানীভাতা ও যাতায়াত বাবদ ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে সই জাল করে অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে। এভাবে প্রায় ৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়। অধিদপ্তরের ‘আইইএম ইউনিট’র ইউনাইটেড নেশান পপুলেশন ফান্ডখাতে বরাদ্দ ছিল (২০১৯ সালে) ১ কোটি ২৯ লাখ টাকা। ওই টাকা কোনো কাজ না করেই অগ্রণী ব্যাংক, ওয়াসা ভবন শাখা থেকে তোলা হয়। 

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৩৯টি কোটেশনের বিল দেওয়া হয়েছে।  যার পরিমাণ ছিল ১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ওই বছরে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক ড. আশরাফুন্নেছার ভাগ্নের মালিকানাধীন ‘রূহী এন্টারপ্রাইজ’ কোনো কাজ না করে ৮৫ লাখ টাকার বিল উত্তোলন হয়। 

অন্যদিকে কাজ না করেই তার আপন চাচাতো ভাইয়ের মালিকানাধীন ‘সুকর্ন এন্টারপ্রাইজ’কে ১ কোটি টাকার কার্যাদেশ দিয়ে বিল উত্তোলন হয়েছে। ‘রূহী এন্টারপ্রাইজ’ ও ‘সুকর্ন এন্টারপ্রাইজ’র নামে বরাদ্দ ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা উত্তরা ব্যাংকের কাওরান বাজার শাখার মাধ্যমে তোলা হয়েছে।

ঢাকা /এম এ রহমান/জেডআর

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়