স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যে ৪৫ জনের সম্পদের খোঁজে দুদক
এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৪৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর অবৈধ সম্পদের খোঁজে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির অনুসন্ধানে এরইমধ্যে যাদের অধিকাংশরই অঢেল সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। যে কারণে সম্পদের হিসাব চেয়ে তাদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেট করে সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও বিদেশে অর্থ পাচারেরও অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একদল কর্মকর্তা-কর্মচারী সিন্ডিকেট করে দুর্নীতি করছে, এমন অভিযোগের বিষয়ে ২০১৯ সাল থেকে আমরা একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করি। মালেকসহ (স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাড়িচালক আব্দুল মালেক) ৪৫ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান ও তদন্ত চলমান রয়েছে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যে ৪৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর অবৈধ সম্পদের খোঁজে দুদক- জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুন্সী সাজ্জাদ হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালী অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (প্রশাসন-২) কবির আহমেদ চৌধুরী ও মো. হুমায়ুন কবীর, কুয়েত মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মেডিক্যাল এডুকেশন শাখার অফিস সহকারী খাইরুল আলম, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের হিসাব রক্ষক মো. মজিবুর রহমান, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন শাখার উচ্চমান সহকারী রেজাউল ইসলাম, মহাপরিচালক দপ্তরের সহকারী প্রধান মো. জোবায়ের হোসেন, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের প্রধান সহকারী এম কে আশেক নওয়াজ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ইপিআই ভবন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর তোফায়েল আহমেদ ভূইয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার অফিস সহকারী কামরুল হাসান, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা (ইপিআই) মো. মজিবুল হক মুন্সি, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ওবাইদুর রহমান, রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হিসাব রক্ষক মো. ইমদাদুল হক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আলোচিত গাড়িচালক আব্দুল মালেক, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মাহমুদুজ্জামান, শহীদ তাজউদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের স্টোর অফিসার মো. নাজিম উদ্দিন, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হিসাব রক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন, বরিশাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক কার্যালয়ের সহকারী প্রধান পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মীর রায়হান আলী, গোপালগঞ্জের শেখ সায়েরা খাতুন মেডিক্যাল কলেজের স্টেনোগ্রাফার-কাম-কম্পিউটার অপারেটর মো. সাইফুল ইসলাম, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের হিসাব রক্ষক এটিএম দুলাল, কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, মুগদা মেডিক্যাল কলেজের হিসাব রক্ষক আবদুল্লাহ হেল কাফি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ফারুক হাসান, প্রধান সহকারী মো. আশরাফুল ইসলাম, মো. সাজেদুল করিম, উচ্চমান সহকারী মো. তৈয়বুর রহমান, উচ্চমান সহকারী মো. সাইফুল ইসলাম, চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উচ্চমান সহকারী মো. ফয়জুর রহমান, রংপুর মেডিক্যাল কলেজের হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা আলিমুল ইসলাম, সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজের ল্যাব সহকারী আব্দুল হালিম ও সুব্রত কুমার দাস, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সচিব মো. আনায়ার হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়ি চালক মো. শাহজাহান, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের স্টোর কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হাসেন, কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের হিসাব রক্ষক আব্দুল মজিদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্টোর ম্যানেজার ইপিআই হেলাল তরফদার, ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতারের স্টোর কিপার সাফায়েত হোসেন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র স্টোর কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম এবং কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের হিসাব রক্ষক আব্দুল মজিদ।
এদের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক মালেকসহ ১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের স্ত্রীকে গত ১৬ সেপ্টেম্বর সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দেয় রাষ্ট্রীয় দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি।
দুদক উপপরিচালক মো. সামছুল আলমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি বিশেষ টিম অনুসন্ধানের দায়িত্ব পালন করছে। টিমের অন্য সদস্যরা হলেন- উপ-সহকারী পরিচালক মো. সহিদুর রহমান ও ফেরদৌস রহমান।
ঢাকা/এমএরহমান/জেডআর