সাহেদ, আমিনুলসহ ৫ জনের মামলায় প্রতিবেদন ১০ নভেম্বর
নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
মোহাম্মদ সাহেদ ও আমিনুল হাসান
রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক আমিনুল হাসানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ১০ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) মামলার এজাহার আদালতে আসে। ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ মামলার এজাহার গ্রহণ করেন। দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীকে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ ওই মামলা করেন ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।
মামলার আসামিরা হলেন—রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. শফিউর রহমান এবং গবেষণা কর্মকর্তা ডা. দিদারুল ইসলাম।
জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স নবায়ন না করা রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর, মেমারেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং সম্পাদন ও সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে ৩ হাজার ৯৩৯ জন কোভিড রোগীর নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করেছেন। ওই হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষার জন্য রোগীপ্রতি ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে মোট ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা নেওয়া হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্য কর্মকর্তাদের মাসিক খাবার খরচ হিসেবে ১ কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার চাহিদা তুলে ধরাসহ এর খসড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় সাহেদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, আয়কর ফাঁকি, ভুয়া নাম ও পরিচয়ে ব্যাংক ঋণ গ্রহণ করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়েছে। রিজেন্ট হাসপাতালের নামে এনআরবি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে দেড় কোটি টাকা ও ফারমার্স ব্যাংক থেকে ১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাহেদসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে দুদক।
ঢাকা/মামুন/রফিক