‘এ রায় সমাজে ভদ্রবেশী সাহেদের মতো অপরাধীদের জন্য বার্তা’
নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
আদালতে আনা হয় সাহেদকে
আমাদের সমাজে সাহেদের মতো অনেক ভদ্রবেশী অপরাধীর জন্য এ রায় বার্তা হিসেবে কাজ করবে। সাহেদের অস্ত্র মামলায় রায় ঘোষণার আগে দেওয়া পর্যবেক্ষণে একথা বলেছেন বিচারক।
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার এক নম্বর স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ অস্ত্র মামলায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। গুলি উদ্ধারের ঘটনায় তাকে আরও সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, ‘মামলায় চার্জশিটের ১৪ সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। সাহেদের গাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে, এটি নিয়ে দ্বিমত নেই। কিন্তু আমার কাছে আশ্চর্য লাগে নিজেকে গাড়ির মালিক হিসেবে পরিচয় দিতে তীব্র বিরোধিতা করেন সাহেদ। তিনি বারবার বলে আসছেন, গাড়ি তার নয়। লোন নিয়ে গাড়ি কিনে ব্যবহার করেন। আসামি কতটা চতুর, জানা সত্ত্বেও তা স্বীকার না করে বিরোধিতা করে আসছেন। ২০ লাখ টাকায় ৬০ কিস্তিতে গাড়িটি কেনেন তিনি।’
বিচারক বলেন, ‘গাড়িটি অটোলক ছিল। চাবি সাহেদ সরবরাহ করে। পরে গাড়ি খুলে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এখানে পাবলিক সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ নেই।’
আসামিপক্ষ বলেছে, ‘অস্ত্র মামলায় সাজা দিতে হলে অস্ত্র সম্পর্কে আসামির নলেজ, কন্ট্রোল ও পজিশন নিরঙ্কুশ হতে হয়। রাষ্ট্রপক্ষ তা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।’
বিচারক আরও বলেন, ‘আসামি খুবই চতুর ও ভদ্রবেশী অপরাধী। এ ধরনের আসামিরা আদালত থেকে কোনো অনুকম্পা পেতে পারেন না। তাই অস্ত্র আইনের সর্বোচ্চ সাজা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। আমাদের সমাজে সাহেদের মতো অনেক ভদ্রবেশী অপরাধীদের জন্য এ রায় বার্তা হিসেবে কাজ করবে।’
এদিকে রায় ঘোষণার পর ন্যায়বিচার পাননি বলে সাংবাদিকদের জানান সাহেদ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাহেদ বলেন, ‘আমি ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। ন্যায়বিচার পাইনি। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।’
ঢাকা/মামুন/জেডআর