পাপিয়ার রায় নিয়ে যা বললেন আইনজীবীরা
অস্ত্র আইনের মামলায় নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমনকে ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া, গুলি উদ্ধারের মামলায় তাদের আরও ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা মহানগর ১ নম্বর স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এদিকে মামলাটি ত্রুটিপূর্ণ বলছে আসামিপক্ষ। ত্রুটিপূর্ণ মামলায় সাজা হওয়ায় সংক্ষুব্ধ আসামিপক্ষের আইনজীবী।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আবু বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেছেন, তারা দুজনেই রাজনীতি করতো, রাজনীতিবিদ। তাদের বাড়ি থেকে অনৈতিকভাবে আয় করা এতগুলো টাকা এবং অস্ত্র পাওয়া গেছে। যেহেতু তারা দুজনে একই পরিবারের সেজন্য তাদের যাবজ্জীবনের পরিবর্তে ২৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট।
আসামিপক্ষের আইনজীবী এ এফ এম গোলাম ফাত্তাহ বলেন, মামলার আসামিদের একদিনের জন্যও তাদের সাজা হতে পারে না। ঘটনার সময় ও জব্দতালিকার সময় দেখানো হয়েছে সাড়ে ৫টা। জব্দ তালিকার মধ্যে উপস্থাপনকারীর ও আসামির কোনো নাম নেই। কার অস্ত্র সে কথাও জব্দতালিকায় বলা নেই। জব্দতালিকা প্রস্তুতকারীর স্বাক্ষর নেই। সাক্ষী বলেছেন, জব্দ করেছেন এক ম্যাজিস্ট্রেট। কিন্তু বাদী বলেছেন, তিনি জব্দ করেছেন। যে ম্যাজিস্ট্রেট জব্দ করেছেন তাকে সাক্ষী করা হয়নি। ভাইটাল সাক্ষী হওয়ার পরও তার সাক্ষ্য নেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, অস্ত্রই আমাদের না। এটা সাজানো মামলা। মিথ্যা অভিযোগে মামলায় জড়ানো হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্য মামলাটি করা।
ঢাকা/মামুন/এসএম