দুদকের দুই মামলায় সাহেদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ৩ জানুয়ারি
এনআরবি ব্যাংক থেকে হাসপাতালের নামে ঋণ বাবদ দেড় কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচার এবং পদ্মা ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের মামলায় রিজেন্টের চেয়ারম্যান সাহেদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আগামী ৩ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার (১৯ অক্টোবর) মামলা দুটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা দুদক প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ প্রতিবেদন দাখিলের এ তারিখ ঠিক করেন।
গত ২২ জুলাই দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. সিরাজুল হক এনআরবি ব্যাংক থেকে হাসপাতালের নামে ঋণ বাবদ দেড় কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে বাদী হয়ে মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- রিজেন্টের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইব্রাহিম খলিল, এনআরবি ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট (এসএমই ব্যাংকিং) ওয়াহিদ বিন আহমেদ এবং করপোরেট হেড অফিসের সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার মো. সোহানুর রহমান।
মামলায় বলা হয়, আসামিরা প্রতারণার মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এনআরবি ব্যাংক থেকে দুই টার্মে ঋণ রিসিডিউলসহ ২ কোটি ৪ লাখ ৯০ হাজার ৯৮৭ টাকা ঋণ দিয়েছেন। যার মধ্যে ৬৫ লাখ ৭৯ হাজার ২২৭ টাকা সুদ ও অন্যান্য চার্জ ধার্য কেটে রাখা হয়। তবে সুদসহ ব্যাংকের এক কোটি ৫১ লাখ ৮১ হাজার ৩৬৫ আত্মসাৎ করা হয়।
পদ্মা ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাহেদসহ আরও চারজনের বিরুদ্ধে ২৭ জুলাই দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করেন দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ।
আসামিরা হলেন-পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড (সাবেক দি ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেড)-এর পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী/অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী, বকশীগঞ্জ জুট স্পিনার্স লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাশেদুল হক চিশতি, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ এবং রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইব্রাহিম খলিল।
মামলায় ঋণের নামে পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড (সাবেক দি ফারমার্স ব্যাংক লি.), গুলশান করপোরেট শাখা থেকে এক কোটি টাকা (সুদাসলসহ ২ কোটি ৭১ লাখ টাকা) আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়।
মামুন/সাইফ