আবরার হত্যা: দুই পুলিশ কর্মকর্তার সাক্ষ্য
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা সাক্ষ্য দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে লালবাগ জোনাল টিমের এসআই রুহুল আমিন এবং চকবাজার থানার কনস্টেবল শহিদুল ইসলাম জবানবন্দি দেন। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের জেরা শেষ করেন।
আগামী ২৮ অক্টোবর মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য রয়েছে। সংশ্লিষ্ট আদালতের পেসকার শামসুদ্দিন জুম্মন এ তথ্য জানান।
এ নিয়ে মামলায় ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে আবরারের বাবা বরকতুল্লাহসহ ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলো। মামলায় ৫ অক্টোবর থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর একই আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন।
আসামিদের মধ্যে ২২ জন কারাগারে আছেন। তাদের আদালতে হাজির করা হয়। তিনজন পলাতক রয়েছে। আর ৮ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গত বছরের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় আবরার ফাহাদকে উদ্ধার করা হয়। দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পরের দিন ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আবরার ফাহাদের বাবা বরকতুল্লাহ। গত ১৩ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আবরার বুয়েটের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭ ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন।
মামুন/সাইফ