ভাঙচুরের মামলায় গ্রেপ্তার মামুনুল: হারুনুর রশিদ
তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হারুন-অর-রশিদ বলেছেন, ভাঙচুরের মামলায় হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলাটি ২০২০ সালে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়।
রোববার (১৮ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন তিনি। এর আগে মাওলানা মামুনুল হককে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিসি হারুনুর রশিদ বলেন, সম্প্রতি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজত ইসলামের নামে যে তাণ্ডব চালানো হয়, এরপর থেকেই এর সঙ্গে কারা কারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত ছিল। এরপরই মূলত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মোহাম্মদপুরের মাদ্রাসা থেকে মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় একটি ভাঙচুরের মামলায ছিল। ২০২০ সালে দায়ের করা মামলায় তিনি এজাহারভুক্ত আসামি। একই সঙ্গে এ ঘটনার সঙ্গে নিজেকে জড়িত থাকার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন মামুনুল হক।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের ডিসি বলেন, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মতিঝিলের শাপলা চত্বরের ২০১৩ সালে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের নামে যে তাণ্ডবলীলা চালানো হয় সেখানেও তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়।
সম্প্রতি বায়তুল মোকাররম মসজিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারায়ণগঞ্জ সহ বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সে ব্যাপারেও তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তদন্তে আরো নিশ্চিত হওয়ার পরও সে ক্ষেত্রে তাকে শোন অ্যারেস্ট দেখানো হতে পারে। আগামীকাল (সোমবার) তাকে আদালতে হাজির করা হবে। সে ক্ষেত্রে হেফাজতের এই নেতাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে। তবে তা তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ভালো বলতে পারবেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলামের ২০১৩ সালের ঘটনা শাপলা চত্বরে ঘটেছিল সেখানেও তিনি এজাহারনামীয় আসামি। যার তথ্য প্রমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে রয়েছে। এই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। একই সঙ্গে মামুনুল হককে গ্রেপ্তারের পর বিভিন্ন সময় তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে সে ব্যাপারেও প্রাথমিক স্বীকারোক্তি দিয়েছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে আর কোন কোন অভিযোগ আছে তা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে হেফাজতে ইসলাম বিরোধিতা করেছিল। এরই অংশ হিসেবে বায়তুল মোকাররম মসজিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসব হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় ১৫ জন নিহত হন। পরে এসব ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করে। এরপরই ঘটনার তদন্তে পুলিশের সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত নামে। তদন্তে ইতিমধ্যেই হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় ৬ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
পড়ুন: হেফাজত নেতা মামুনুল হক গ্রেপ্তার
মাকসুদ/সাইফ