‘ওরা আনসার আল ইসলামের পৃথক সেলের দায়িত্বে ছিল’
সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান
রাজধানীর রামপুরা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। গ্রেপ্তারকৃতরা বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে বলে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।
রোববার (২৭ জুন) দুপুরে মিন্টু রোডের ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, শনিবার (২৬ জুন) রামপুরা এলাকায় গোপন সংবাদে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ওই ৩ জনকে গ্রেপ্তার করলে তারা নিজেদের উগ্র জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের গ্রেপ্তার করা হবে। ৩ জনই আনসার আল ইসলামের পৃথক সেলের দায়িত্ব ছিল বলে প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি।
গোয়েন্দা পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গ্রেপ্তারকৃতরা হলো সৈয়দ তাইমিয়া ইব্রাহিম ওরফে আনোয়ার, মারুফ চৌধুরী মিশু ও মো. ফায়জুল মোরসালিন। তারা অনলাইন বা বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে দেশ-বিদেশ থেকে চ্যারিটির নামে বিপুল পরিমাণ যাকাতের টাকা নিয়ে আসে। যাকাতের টাকা গোপনে তারা জঙ্গি কর্মকাণ্ডে ব্যয় করে আসছিল। আনোয়ার বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ সম্পন্ন করে। ২০১৫ সাল থেকে আনসার আল ইসলামের সঙ্গে যুক্ত হয়। ২০১৭ সালে আনসার আল ইসলামের একটি সেলের দায়িত্ব পায়। মিশু আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে পড়াশোনা শেষ করে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতো। পাশাপাশি ২০১৭ সাল থেকে আনসার আল ইসলামের সঙ্গে জড়িয়ে জঙ্গি কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। এছাড়া মোরসালিনও একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা সম্পন্ন করে। তবে তারা তিনজনই পৃথক সেলের দায়িত্বে আছে। আর এই সেলগুলো এমনভাবে করা হয় যেন এক সেলের সদস্য অন্য সেলের কাউকে যেন না চিনতে পারে। যা জঙ্গিদের একটি অন্যতম কৌশল বলে গোয়েন্দারা দাবি করছে। তবে জঙ্গিরা যত ধরনের কৌশল অবলম্বন করুক না কেন তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
/মাকসুদ/এসবি/