ঢাকা     শনিবার   ১১ জানুয়ারি ২০২৫ ||  পৌষ ২৭ ১৪৩১

‘বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করা ছিল তাদের উদ্দেশ্য’

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:০৩, ৮ জুলাই ২০২১   আপডেট: ২২:০৪, ৮ জুলাই ২০২১
‘বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করা ছিল তাদের উদ্দেশ্য’

রাজধানীর পল্লবীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামের পাশের নির্মাণাধীন ভবনের সামনে থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের (জেএমবি) তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঢাকায় বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাদের সংগঠনের কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করার উদ্দেশে তারা সেখানে একত্রিত হয়েছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছে গ্রেপ্তারকৃতরা।

বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের বোম ডিসপোজাল ইউনিটের এসআই (নি.) গোলাম মর্তুজা পল্লবী থানায় দায়ের করা সন্ত্রাস বিরোধ আইনের মামলায় তিন আসামিকে আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। আবেদনে এ কথা বলেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

এদিকে, ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমানের আদালতে প্রত্যেকের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন-সাব্বির আহম্মেদ ওরফে বামসি ব্যারেক ওরফে মেজর খালিদ, রবিউল ইসলাম ওরফে ওসমান এবং নাঈম মিয়া।

আরো পড়ুন:

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামিরা প্রত্যেকেই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয় সদস্য।  ৭ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের আরও দুই সহযোগী কৌশলে পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে বিস্ফোরক জাতীয় গুড়া পদার্থ, বিস্ফোরক পদার্থ ও বোমা তৈরির প্রিন্টেড নথি ইত্যাদি পাওয়া যায়।  জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, ঢাকা শহরে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাদের সংগঠনের কার্যক্রমকে শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে তারা সেখানে একত্রিত হয়েছিল। 

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, সাব্বির আহম্মেদ বোমা তৈরির অন্যতম কারিগর এবং সামরিক শাখা ময়মনসিংহ অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিল। সে তার সহযোগী গ্রেপ্তারকৃত ও পলাতক আসামিদের নিয়ে ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, টাঙ্গাইল ও কুড়িগ্রামসহ ঢাকা শহরে দীর্ঘদিন ধরে তাদের সংগঠনের সদস্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে দাওয়াতি কার্যক্রম পালন করে আসছিল। রবিউল ইসলাম ২০১৬ সাল থেকে জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয়ভাবে কার্যক্রম করে আসছে এবং নাইম মিয়া এ বছর উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠনে যোগদান করে।

পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার এবং তাদের কাছে থাকা আরও বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক জাতীয় পদার্থ ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারের লক্ষ্যে আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন তদন্ত কর্মকর্তা।  এরপর আদালত আসামিদের রিমান্ডের আদেশ দেন।

মনির আরও ২ দিনের রিমান্ডে: এদিকে কলাবাগান থানার সন্ত্রাস বিরোধ আইনের এক মামলায় মনির খান নামে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের আরেক সদস্যদের আবারও এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) তিন দিনের রিমান্ড শেষে ফের দুই দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার এসআই জুলফিকার আলী। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদারের আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।

/মামুন/এসবি/

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়