মদ খাওয়ার বৈধ লাইসেন্স নেই নায়িকা পরীমনির
ঢালিউডের গ্ল্যামার গার্ল খ্যাত চিত্রনায়িকা ও র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে স্মৃতিমনি ওরফে পরীমনির মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) থেকে বৈধ কোন মদ খাওয়ার লাইসেন্স নেই। তিনি অধিদপ্তরে কোন ধরনের আবেদনও করেননি বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) রাতে অধিদপ্তরের গুলশান সার্কেল ইন্সপেক্টর শামসুল কবির রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘চিকিৎসকের পরামর্শে কোন ব্যক্তি পরিমিত অ্যালকোহল সেবন করতে পারেন। তবে সেজন্য তাকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করে লাইসেন্স নিতে হয়। তাও একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। পরীমনির বাসা আমার সার্কেলের অধীন। তিনি সরকার কর্তৃক যে লাইসেন্স দেওয়া হয় তার জন্য আবেদন করেননি। কখনো অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন আমার জানা নেই।’
এর আগে বিকেলে পরীমনিকে গ্রেপ্তারের পর উত্তরার র্যাব হেডকোয়ার্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, প্রায় ৫ বছর মাদক সেবনে অভ্যস্ত হালের এ নায়িকা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মদের সঙ্গে বিভিন্ন মাদকে আসক্ত। এ কারণেই তিনি বাসাবাড়িতে বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ রাখতেন। তবে এর যথাযথ বৈধতা তিনি দেখাতে পারেননি। পাশাপাশি তার বাসা থেকে যে পরিমাণ বিদেশি মদ, এলএসডি, আইস পাওয়া গেছে তা বৈধভাবে রাখার কোন নিয়ম নেই। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
একটি সূত্র বলছে, পরীমনির দিন শুরু হতো মূলত দুপুরের পর। কোনমতে একটু খাবার সেরে মদ পান করতেন। নিজের বাসায় থাকাকালিন কিংবা বের হওয়ার সময় তিনি মদ সেবন করতেন। প্রতিদিন যেসব পার্টিতে তিনি অংশগ্রহণ করতেন সেগুলোতে অতিরিক্ত মদ কিংবা সিসা সেবন করতেন। গভীর রাত পর্যন্ত পার্টি শেষ করে তিনি ভোর কিংবা সকালের দিকে বাসায় ফিরতেন। অভ্যস্ত হয়ে পড়েন উশৃঙ্খল জীবন-যাপনে। এ সবই তিনি করতেন মূলত অতিরিক্ত অর্থের নেশায়।
এর আগে বুধবার (৪ আগস্ট) বিকেলের পরপরই বনানীর বাসা থেকে পরীমনিরকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, এলএসডি ও আইস উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় বনানী থানায় হস্তান্তর করে সংস্থাটি। রাতেই পরীমনিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
মাকসুদ/আমিনুল