সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে
৩২ বছর আগে ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সামনে সগিরা মোর্শেদকে হত্যার মামলা পরবর্তী বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (১৬ আগস্ট) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে মামলাটির প্রথম তারিখ ধার্য ছিল। এদিন সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী ও তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। আদালত আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন বলে ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মামলাটি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ স্থানান্তরে গেজেট প্রকাশ করে। এরপর মামলাটি বদলি করা হয়।
আসামিরা হলেন—সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী (৭০), তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহিন (৬৪), শ্যালক আনাছ মাহমুদ রেজওয়ান (৫৯) ও মারুফ রেজা (৫৯)।
গত বছরের ২ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এরপর মামলার বাদী সগিরা মোর্শেদের স্বামী সালাম চৌধুরী সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেন। তবে তা শেষ হয়নি।
১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই বিকেলে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সামনে সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় রমনা থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার স্বামী সালাম চৌধুরী।
প্রত্যক্ষদর্শী রিকশাচালক ঘটনায় জড়িত দুজনের কথা বললেও মিন্টু ওরফে মন্টু নামের একজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়। ১৯৯১ সালের ১৭ জানুয়ারি মন্টুর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়।
এর পর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯১ সালের ২৩ মে বিচারিক আদালত অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে মারুফ রেজা হাইকোর্টে আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯১ সালের ২ জুলাই হাইকোর্ট রুল দিয়ে মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ স্থগিত করেন।
পরের বছরের ২৭ আগস্ট অন্য এক আদেশে হাইকোর্ট ওই রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ান। এরপর ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের জন্য উদ্যোগ নেয় রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি নিয়ে গত বছরের ২৬ জুন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ মামলার অধিকতর তদন্ত আদেশে এর আগে দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন। একই সঙ্গে ৬০ দিনের মধ্যে ওই মামলার অধিকতর তদন্ত শেষ করতে পিবিআইকে নির্দেশ দেন। ২০১৯ সালের ১৭ আগস্ট এ মামলাটি তদন্ত শুরু করে পিবিআই। ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি চারজনকে অভিযুক্ত করে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম। গত বছর ৯ মার্চ চার আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন আদালত।
ঢাকা/মামুন/রফিক