ঢাকা     মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪ ||  কার্তিক ২১ ১৪৩১

ই-অরেঞ্জের আমান উল্যাহ কারাগারে, রিমান্ড শুনানি ২৩ আগস্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৪০, ১৯ আগস্ট ২০২১   আপডেট: ১৬:৪৭, ১৯ আগস্ট ২০২১
ই-অরেঞ্জের আমান উল্যাহ কারাগারে, রিমান্ড শুনানি ২৩ আগস্ট

ফাইল ছবি

প্রতারণা করে গ্রাহকের ১১শ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ই-অরেঞ্জের চিফ অপারেটিং অফিসার আমান উল্যাহকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবুবকর ছিদ্দিকের আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়ে রিমান্ড শুনানির তারিখ ২৩ আগস্ট ধার্য করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম আসামি আমান উল্যাহর ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। তবে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে হাজির হননি। এজন্য আদালত তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ২৩ আগস্ট রিমান্ড শুনানির তারিখ ঠিক করেন।

এদিকে এ মামলায় ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমানেরও ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। ওইদিন এ দুই আসামির রিমান্ড শুনানি হবে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

বুধবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় আমান উল্যাহকে গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে ২৪টি ক্রেডিট কার্ড, ১৬ লাখ টাকা এবং গাড়ি জব্দ করা হয়।

আর মামলা দায়েরের পরই গত ১৭ আগস্ট সোনিয়া মেহজাবিন ও মাসুকুর রহমানে আদালতে এসে আইনজীবীরা মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

১৭ আগস্ট সকালে মামলাটি দায়ের করেন ই-অরেঞ্জের প্রতারণার শিকার মো. তাহেরুল ইসলাম নামের এক গ্রাহক। এসময় প্রতারণার শিকার আরও ৩৭ জন উপস্থিত থেকে তার সঙ্গে সাক্ষ্য দেন।

মামলায় তাহেরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, তিনি গত ২১ এপ্রিল পণ্য কেনার জন্য ই-অরেঞ্জে অগ্রিম টাকা দেন। তবে ই-অরেঞ্জ নির্ধারিত তারিখে পণ্য সরবরাহ করেনি। টাকাও ফেরত দেয়নি। নিজেদের ফেসবুক পেজে বার বার নোটিশ দিয়েছে। সময় চেয়েছে। কিন্তু পণ্য ও টাকা দেয়নি। সর্বশেষ তারা গুলশান-১ এর ১৩৬/১৩৭ নম্বর রোডের ৫/এ নম্বর ভবনে অবস্থিত অফিস থেকে পণ্য ডেলিভারির কথা বললেও তারা ডেলিভারি দেয়নি। 

এছাড়াও তারা যে বিভিন্ন আউটলেটের গিফট ভাউচার বিক্রি করেছিল, সেগুলোর টাকা আটকে রাখায় আউটলেটগুলো ভাউচারের বিপরীতে পণ্য দিচ্ছে না।

তিনি বলেন, ‘এই করোনাকালীন আমাদের কষ্টার্জিত অর্থ পাচ্ছি না। বরং প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা পরিবর্তন নিয়ে নতুন নতুন তথ্য পাচ্ছি। এছাড়াও আজ পর্যন্ত তারা ভুক্তভোগীদের কোনো পণ্য ডেলিভারি না করে এক লাখ ভুক্তভোগীর প্রায় ১১০০ কোটি টাকা প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাৎ করেছে।’

ঢাকা/মামুন/সনি


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়