রিমান্ড শেষে জামায়াতের সেক্রেটারিসহ কারাগারে ৭
নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মিয়া গোলাম পরওয়ার
রাজধানীর ভাটারা থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে করা মামলায় জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ সাত জনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া অপর আসামিরা হলেন- জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য ইজ্জত উল্লাহ, সাবেক এমপি মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলাম, মোবারক হোসেন, ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত ও রফিকুল ইসলাম খান এবং তার বাবুর্চি ইমাম হোসেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা রনপ কুমার এ তথ্য জানান।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান জোনাল টিমের পরিদর্শক (নি.) কাজী ওয়াজেদ মিয়া রিমান্ডে থাকা সাত আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে মামলা সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে, যা যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। মামলার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে পুলিশ রিপোর্ট দাখিল না করা পর্যন্ত তাদের জেল হাজতে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, ‘তারা দেশের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার কাজে জড়িত। এ কারণে জামিনে মুক্তি পেলে আবারও একই ধরনের কাজ করে জননিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটাতে পারে।’
দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি রোধ এবং নৈরাজ্য বন্ধের লক্ষ্যে আসামিদের জামিনের বিরোধীতা করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আসামিদের পক্ষে আব্দুর রাজ্জাকসহ কয়েকজন আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু জামিনের বিরোধীতা করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার, ইজ্জত উল্লাহ, আ ন ম শামসুল ইসলাম, মোবারক হোসেন ও রফিকুল ইসলাম খান অসুস্থ থাকায় চিকিৎসার আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা। আদালত কারাবিধি অনুযায়ী চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে কারাকর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে ভাটারা এলাকা থেকে গোলাম পরওয়ারসহ নয় জনকে আটক করে পুলিশ। গত ৭ সেপ্টেম্বর তাদের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওই রিমান্ড শেষে ১২ সেপ্টেম্বর মনিরুল ইসলাম ও আবুল কালাম নামে দুজন আদালতে স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দেন। গোলাম পরওয়ারসহ পাঁচ জনের আরও দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়।
১০ সেপ্টেম্বর সাবেক এমপি মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলাম এবং তার বাবুর্চি ইমাম হোসেনের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
পুলিশ জানায়, জামায়াতের নেতারা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন। বৈঠকে তারা রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র ও নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন।
এ ঘটনায় ভাটারা থানার এসআই হাসান মাসুদ মামলাটি দায়ের করেন।
ঢাকা/মামুন/সনি