‘সুউচ্চ ভবনে রেকি করে চুরি’
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার সংবাদ সম্মেলন
রাজধানী ও কুমিল্লা থেকে সংঘবদ্ধ চোর দলের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তরা বিভাগ। তারা সুউচ্চ ভবনের নামিদামি সব অফিসকে টার্গেট করে চুরি করে আসছে। প্যারাডাইস টাওয়ারে চুরির ঘটনায় তদন্ত করতে গিয়ে এসব বেরিয়ে আসে বলে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুবুল আলম বলেন, গোপন সংবাদে সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ডেমরা ও কুমিল্লা জেলার কান্দিরপাড় এলাকা থেকে ওই ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা পেশাদার চোর। এ সময় চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি হাতুড়ি, লোহার রেঞ্জ, ৩টি হ্যাকসোব্লেড, একটি প্লাসসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ করা হয়। তারা গত ১১ জুন উত্তরা পশ্চিম থানার প্যারাডাইস টাওয়ারের অষ্টম তলায় গোল্ডেন টাচ আইএনসি অফিসে চুরির ঘটনা ঘটে। ১৩ জুন এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ডিবি পুলিশ ছায়া তদন্ত শুরু করে। পরে ওই ভবনের সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করে প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়। অবশ্য ওই সিসিটিভির পর্যালোচনা করতে গিয়ে অনেক কিছু অসামঞ্জস্যতা পাওয়া যায়। বিশেষ করে অফিসগুলোতে স্থাপিত সিসিটিভি কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করা হয় না। যা সংঘবদ্ধ চোরের দল জানতে পারে। এ কারণে তারা সুউচ্চ ভবনের অফিসগুলোতে স্বাচ্ছন্দে চুরি করে পালিয়ে যাচ্ছে।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুবুল আলম বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় সুউচ্চ টাওয়ারে অবস্থিত বিভিন্ন নামিদামি অফিসে চুরি করার জন্য টার্গেট করে। পরে তারা সেবাগ্রহীতা বেশে টার্গেটকৃত অফিসে ২/৩ দিন আগে রেকি করে। চুরি করার কৌশল রপ্ত করে। টার্গেটকৃত অফিসের তালা সিকিউরিটি লক ডিজিটাল ও অফিস কক্ষে ট্রয়ের ভেঙে মূল্যবান মালামাল ও টাকা-পয়সা চুরি করে সুকৌশলে নিয়ে যায়। ইতোমধ্যেই তারা আদাবর টাওয়ারের চতুর্থ তলার এক্সপার্ট গ্রুপে, কাকরাইলে নাসিরুদ্দিন টাওয়ারের দশম তলায় আমিন গ্রুপে, গুলশান জব্বার টাওয়ারের ১৯ তলায় এসিউর গ্রুপে, বাড্ডা রূপায়ন টাওয়ারের ষষ্ঠ তলায় অবস্থিত সফটলিংক কোম্পানি ও সপ্তম তলায় অবস্থিত আরেকটি কোম্পানির অফিসে চুরি করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। তাদের রিমান্ডে নিয়ে চক্রের বাকি সদস্যদের আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে, ডিবি পুলিশের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় মো. জামাল উদ্দিন, শফিক মিয়া ওরফে বাসা, জসীমউদ্দীন, মুক্তা আক্তার, মো. শাকিল আলামিন ও কিবরিয়া ওরফে বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা চুরির ঘটনা ঘটিয়ে ঢাকা, কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে চলে যায়।
মাকসুদ/এসবি