র্যাব হেফাজতে মৃত্যু: জেসমিনের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে
নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
![র্যাব হেফাজতে মৃত্যু: জেসমিনের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে র্যাব হেফাজতে মৃত্যু: জেসমিনের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2023March/High_Court-2303280438.jpg)
নওগাঁয় র্যাবের হেফাজতে সুলতানা জেসমিন (৪৫) নামের এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্বাভাবিক ও উচ্চ রক্তচাপজনিত কারণে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু হয়েছে। তাকে কোনো নির্যাতন করা হয়নি।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের ওপর আজ শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। এ সময়, র্যাবের যে সব কর্মকর্তাদের তালিকা চাওয়া হয়েছে তাও দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
সোমবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন অ্যাডভোকেট মনোজ কুমার ভৌমিক। পরে ওই নারীর মৃত্যুর ঘটনায় ‘পোস্টমর্টেম রিপোর্ট’ তলব করেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ। মঙ্গলবার সকালের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে এ রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে সুলতানা জেসমিন র্যাবের যে কর্মকর্তার অধীনে ছিলেন তার নাম আদালতে দাখিল করতে বলা হয়।
জানা গেছে, গত ২২ মার্চ বুধবার সকালে প্রতিদিনের মতো অফিসে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে রওনা হন সুলতানা জেসমিন। পথে সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের নওযোয়ান মাঠের সামনে পৌঁছালে সাদা রঙের মাইক্রোবাসযোগে এসে র্যাব সদস্যরা তাকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। আটকের প্রায় ২ ঘণ্টা পর দুপুরে সুলতানাকে অসুস্থ অবস্থায় নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে র্যাব। সেখানে সন্ধ্যা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন থাকার পর তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। রামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
সুলতানা জেসমিন সদর উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সহকারী পদে কর্মরত ছিলেন। শহরের জনকল্যাণ মহল্লায় ভাড়া থাকতেন তিনি।
ঢাকা/মামুন/ইভা
আরো পড়ুন