অর্থপাচার মামলায় জি কে শামীমের ১০ বছর কারাদণ্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

আদালত প্রাঙ্গণে জি কে শামীম
রাজধানীর গুলশান থানার মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া, মামলার সাত আসামিকে ৪ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৭ জুলাই) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামি হলেন, মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মোরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. শহীদুল ইসলাম ওরফে শরীফ, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন ও মো. আমিনুল ইসলাম।
দণ্ডপ্রাপ্তদের ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৩৫ হাজার ৮১৪ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে যা আগামী ৬০ দিনের মধ্যে দিতে বলা হয়েছে। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাদের আরও এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ে আদালত জি কে শামীমের জব্দকৃত সমস্ত ব্যাংক হিসাব ও অস্থাবর সম্পত্তি অবমুক্ত করার আদেশ দেন।
এদিন রায় ঘোষণার আগে ৮ আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান এ তথ্য জানান।
গত ২৫ জুন মামলাটি অধিকতর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ে জন্য ধার্য ছিল। আসামিপক্ষের আইনজীবী অধিকতর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেননি। এদিকে রায়ও প্রস্তুত না হওয়ায় আদালত তারিখ পিছিয়ে ১৭ জুলাই ঠিক করেন।
গত ১৫ জুন রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের এ তারিখ ধার্য করেন।
গত ২৬ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করে। ৬ মার্চ শেষ করে। এর আগে ১৭ জানুয়ারি আত্মপক্ষ শুনানিতে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থণা করেন। গত ২১ ডিসেম্বর মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। মামলাটিতে চার্জশিটভূক্ত ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে নিকেতনের নিজ বাসা থেকে শামীমকে আটক করা হয়। এ সময় জিকে শামীমের কাছ থেকে প্রায় ২০০ কোটি টাকার এফডিআর চেকসহ বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি টাকা জব্দ করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি অস্ত্রও পাওয়া যায়।
এ ঘটনার পর র্যাব-১ এর নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান ২১ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট আদালতে জি কে শামীম ও তার সাত দেহ রক্ষীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২০ সালের ১০ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
ঢাকা/মামুন/ইভা