ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

ব্যক্তির দায় বহন করবে না পুলিশ: বিপ্লব কুমার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৪৩, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩   আপডেট: ১৮:৩১, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ব্যক্তির দায় বহন করবে না পুলিশ: বিপ্লব কুমার

বিপ্লব কুমার সরকার

ঢাকা মহানগর পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার (অপারেশনস) বিপ্লব কুমার সরকার বলেছেন, শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুই দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। যার যার অপরাধ অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে। ব্যক্তির দায় পুলিশ বহন করবে না।

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ডিএমপির সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

পড়ুন: ডিএমপি কার্যালয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি 

বিপ্লব কুমার বলেন, ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। সরাসরি একজন ভুক্তভোগীও এসেছিলেন। তারা তাদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন। ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বেশ কিছু দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করা হয়েছে। 

জয়েন্ট কমিশনার এ সময় জানান, বাংলাদেশ পুলিশ অত্যন্ত পেশাদার একটি সংস্থা। ব্যক্তির দায় বাংলাদেশ পুলিশ বহন করবে না। এটি একদম সাফ কথা।

তিনি আরো বলেন, পত্রপত্রিকার মাধ্যমে ঘটনাটি যখন সবার নজরে এসেছে তখন তাৎক্ষণিকভাবে কমিশনার তাকে (রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশিদ) রমনা থেকে সরিয়েছেন। পরবর্তীতে আইজিপি ডিএমপি থেকে বদলি করে তাকে এপিবিএনে বদলি করেন। এ ছাড়া ডিএমপি একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে। তদন্ত কমিটিকে ডিএমপি কমিশনার বলেছেন, কারো প্রতি পক্ষপাতিত্ব না করে পেশাদারিত্বের সঙ্গে তদন্ত সম্পন্ন করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য। 

এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সঙ্গে পুলিশের সর্বোচ্চ থেকে শুরু করে সর্বনিম্ন পর্যায়ের যে কেউ জড়িত থাকুক, যার যতটুকু দায় দায়িত্ব রয়েছে, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে কমিশনার আশ্বস্ত করেছেন বলেও জানান বিপ্লব কুমার। 

প্রত্যেকের শাস্তি নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বিপ্লব কুমার বলেন, একশ পার্সেন্ট নিশ্চিত থাকেন যারা জড়িত ছিল সবার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একজন জড়িত নাকি পাঁচ-দশজন জড়িত তদন্ত কমিটি যাকে যতটুকু দায়ী করবে তার অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। দুই ধরনের দণ্ড রয়েছে। একটি লঘুদণ্ড অন্যটি গুরুদণ্ড। লঘুদণ্ডের মধ্যে চারটি বিষয় রয়েছে, গুরুদণ্ডের মধ্যেও চারটি বিষয় রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈম ও বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক শরীফ আহম্মেদ মুনীমকে শাহবাগ থানার ভেতরে ঢুকিয়ে মারধরের অভিযোগ ওঠে রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে। আহতদের একজন হাসপাতালে ভর্তি, অন্যজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় হারুন অর রশিদকে একদিনে দুইবার বদলি করা হয়। রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) প্রথমে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক আদেশে তাকে রমনা বিভাগ থেকে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) উত্তর বিভাগে বদলি করা হয়। পরে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে আরেক প্রজ্ঞাপনে এডিসি হারুনকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে বদলি করা হয়।

/মাকসুদ/এসবি/

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়