ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

সাংবাদিককে ‘হেনস্তার’ অভিযোগ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:০৫, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩  
সাংবাদিককে ‘হেনস্তার’ অভিযোগ

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীতে গণমাধ‌্যমকর্মীকে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে সুমনা ইসলাম নামে একজনের বিরুদ্ধে। ফ্লাট ভাড়া চুক্তি করে নিজ ফ্লাটে উঠতে গিয়ে তিনি হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে ঢাকার সিএমএম আদালতে একটি মানহানি মামলা দায়ের করেছেন হেনস্থার শিকার ডেইলি ট্রাইব্যুনাল পত্রিকায় ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট হিসেবে কর্মরত সিনিয়র সাংবাদিক মো. আহ্ছান উল্যাহ্। যার মামলা নম্বর ৫৩৮।

মামলা সূত্র জানা গেছে, একটি ফ্লাট যা আইডিএলসি’র ঋণের টাকায় ক্রয় ও সে ঋণ পরিশোধে মাসে ভাড়া দেওয়ার জন্য চুক্তি করেন সাংবাদিক আহ্ছান উল্যাহর সঙ্গে। ওই বাড়ি ভাড়ার চুক্তিপত্র ফ্লাট মালিক সমিতির সভাপতি, সম্পাদকের সাথে পরামর্শ করার জন্য ভবনের নিচতলায় নিরাপত্তা প্রহরীকে অনুরোধ করেন। ওই সময়ে উনাদের কেউ না থাকায় তিনি তার পেশাগত ভিজিটিং কার্ড ও ফ্লাট ভাড়ার চুক্তিপত্র নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রহরীদের কাছে দিয়ে সিকিউরিটি লবি থেকে স্থান ত্যাগ করেন। নিরাপত্তারক্ষীরা জানান, তাদের ফ্ল্যাটমালিক সমিতির সভাপতি-সম্পাদক আসলে বিষয়টি অবগত করা হবে।

পরবর্তীতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিবালয়ে সাংবাদিক আহ্ছান উল্যাহকে একজন সন্ত্রাসী হিসেবে উল্লেখ করে জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাবেক স্ত্রী সুমনা ইসলাম একটি আবেদন দেন। এতে বিষয়টি নিয়ে তার ও তার পত্রিকার প্রতি বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। আবেদনে সুমনা ইসলাম নিজেকে ডাক্তার হিসেবে পরিচয় দেন।

ফলে সাংবাদিক মো. আহ্ছান উল্যাহ্’র প্রতি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং সাংবাদিক মহলের কাছে তার সম্মানহানি ও হেয়-প্রতিপন্ন করা হয়েছে মর্মে উল্লেখ করে সুমনা ইসলামকে বিবাদী করে মানহানির একটি মামলা দায়ের করেন।

এ ছাড়াও, ডাক্তার পরিচয় দেওয়া ও ডাক্তারি সনদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর চাওয়া ও এ বিষয়ে জানতে চাওয়ায় হেনস্তা এবং হুমকির কথা উল্লেখ করে আরও একাধিক সাংবাদিকের ফোন নম্বর উল্লেখ করে ধানমন্ডি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন সুমনা ইসলাম।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিক মো. আহ্ছান উল্যাহ্ বলেন, ফ্ল্যাটের মালিকের সঙ্গে আমার পরিচয় বনানীতে। আমার বাড়ি নোয়াখালী। আমি জানতে পারি তিনি নোয়াখালী জেলার একজন সরকারি একজন কর্মকর্তা। দুজনের মধ্যে একটা ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়। তিনি আমাকে বলেন, উত্তরা থেকে তো আপনার অফিস করা সমস্যা; আমার একটি ফ্ল্যাট আছে আইডিএলসি থেকে ঋণ নিয়েছিলাম, সেটা তো শোধ করতে পারিনি। আমার ফ্ল্যাটটা আছে আপনি ভাড়া নেন। তারপর তার সঙ্গে আমার কথা হলো ফ্ল্যাটের বিষয়ে। এরপর আমি ১ তারিখ সন্ধ্যায় আমার এক সহকর্মীকে নিয়ে সেখানে যাই। আমার প্ল্যান ছিল, ওখানে গিয়ে সিকিউরিটির সঙ্গে কথা বলবো। কথা বলে ওই ফ্ল্যাটের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলে সময় নির্ধারণ করে কাগজপত্র কমপ্লিট করে তারপর চাবি বুঝে নেব। সিকিউরিটির সঙ্গে কথা বললাম, তিনি বললেন- সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কেউ নেই। আমি আমার কাগজপত্রগুলো তাকে দিয়ে বললাম সভাপতি সাধারণ সম্পাদক আসলে আমার কথাগুলো তাদের বলবেন, আর তাদের নম্বরটা কালেক্ট করে আমাকে একটু দেবেন। এটা বলে আমি চলে আসি।

‘পরে আমি জানতে পারি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বিভাগের সচিবালয়ে আমার নামে একটা অভিযোগ আছে। আমি নাকি কোন নারীর হাত টানাটানি করেছি। এরপর আমি সেটার একটা কপি সংগ্রহ করি এবং আমি সিএমএম আদালতে মামলা করি। সেখানে আমার চাওয়া ছিল নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সঠিক বিষয়টা বেরিয়ে আসুক। আমি অনুরোধও করেছি যে আপনারা পিবিআইতে একটা তদন্ত পাঠান। আমার মামলা রজু হওয়ার দুই-তিন দিন পরে জানতে পারলাম সেই নারী ধানমন্ডি থানায় আমার বিরুদ্ধে একটা জিডি করেছেন। পরে আমি ওসি ধানমন্ডির সঙ্গে দেখা করলাম কথা বললাম। তারপর তিনি তার জিডির আইও যিনি ছিলেন তাকে বেশ কয়েকবার ফোন দিয়েছেন ফোন রিসিভ করেননি। পরে তিনি একটা ম্যাসেজ দিয়েছেন যে জিডির প্রেক্ষিতে তথ্য প্রমাণ সিসিটিভির ফুটেজ কালেক্ট করুন।’  

হামলার ঘটনার বিষয়ে জানতে ফ্ল্যাটের সভাপতি নাফিসের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। সাধারণ সম্পাদক মাসুদ এই বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান।

ফ্ল্যাটের ম্যানেজার তরিকুল বলেন, এই বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না। ম্যাডাম ভালো বলতে পারবেন।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়