ঢাকা     শনিবার   ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ১৩ ১৪৩১

দেশে নতুন জঙ্গি সংগঠন তাওহীদুল উলূহিয়্যাহ: এটিইউ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:১২, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩  
দেশে নতুন জঙ্গি সংগঠন তাওহীদুল উলূহিয়্যাহ: এটিইউ

দুই-তিন মাস ধরে কার্যক্রম চালাচ্ছে ‘তাওহীদুল উলূহিয়্যাহ’

‘তাওহীদুল উলূহিয়্যাহ’ (আল-জিহাদী) নামে একটি জঙ্গি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। দুই-তিন মাস ধরে কার্যক্রম চালাচ্ছে সংগঠনটি। ২০২৪ সালে দেশে বড় হামলার পরিকল্পনা ছিল তাদের।

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টায় রাজধানীর বারিধারায় অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) সদর দপ্তরের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন এটিইউ’র ডিআইজি (অপারেশন্স) মোহা. আলীম মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে অভিযান চালিয়ে বাগেরহাট থেকে জুয়েলকে, জয়পুরহাট থেকে রাহুলকে ও রাজধানীর ভাসানটেক থেকে গাজীউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জুয়েল এই সংগঠনের প্রধান। অন্য দুজন শীর্ষ নেতা। সংগঠনটি দুই-তিন মাস ধরে কার্যক্রম চালাচ্ছে। ২০২৪ সালে দেশে বড় ধরনের জঙ্গি হামলা করার পরিকল্পনা ছিল তাদের। 

আরো পড়ুন:

মোহা. আলীম মাহমুদ বলেন, কয়েক মাস ধরে গোয়েন্দা সূত্রে খবর পাচ্ছিলাম, কিছু উগ্রবাদী মানুষ একত্রিত হচ্ছে। যারা দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিশ্বাস করে না। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বানচাল করে উগ্রবাদী ব্যবস্থা কায়েমের জন্য তারা একত্রিত হচ্ছিল। গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই আগে কোনো না কোনো জঙ্গি সংগঠনের সদস্য ছিল। তারা নতুন লক্ষ্য নিয়ে নতুন করে একত্রিত হয়। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও ও পোস্টের মাধ্যমে সদস্য সংগ্রহ করছিল। এই দলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নেতা জুয়েল। আমরা প্রথমে জুয়েলকে বাগেরহাটের রামপাল থেকে গ্রেপ্তার করি। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকি দুই শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদেরকে গ্রেপ্তারের সময় নতুন সংগঠনের আটটি ব্যানার জব্দ করা হয়। তারা প্রাথমিকভাবে সদস্য সংগ্রহের পাশাপাশি অর্থও সংগ্রহ করছিল। এই অর্থ দিয়ে তারা অস্ত্র কেনা ও বোমা তৈরি সরঞ্জাম সংগ্রহ করার পরিকল্পনা করছিল। এই অস্ত্র ও বোমা দিয়ে তারা বড় ধরনের জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা করছিল।

ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য জসীম উদ্দিন রহমানি, যিনি বর্তমানে কারাগারে সাজা ভোগ করছেন, তার বক্তব্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে নতুন এ জঙ্গি সংগঠনটি তৈরি করে জুয়েল। সে নিজেও আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য ছিল। জসীম উদ্দিন রহমানিকেও কারাগার থেকে মুক্ত করার পরিকল্পনা ছিল জুয়েলের। সংগঠনটিতে এখন পর্যন্ত ৮০-৯০ জন সদস্য আছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তাদের অর্থদাতা কে, তা এখনো জানা যায়নি। সংগঠনটির অর্থ সংগ্রহে কাজ করছিল রাহুল। সে বোমা তৈরির দায়িত্বেও ছিল। 

মাকসুদ/রফিক 

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়