ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

রানা প্লাজা নির্মাণে দুর্নীতি: তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:১০, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩  
রানা প্লাজা নির্মাণে দুর্নীতি: তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকালে ধসে পড়ে সাভারের রানা প্লাজা (ফাইল ফটো)

সাভারের বহুল আলোচিত রানা প্লাজা নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগে ভবনটির মালিক সোহেল রানাসহ দশজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা দুদক পরিচালক এস এম মফিদুল ইসলামের জবানবন্দি অব্যাহত আছে।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতে দ্বিতীয় দিনের মতো জবানবন্দি দেন এস এম মফিদুল ইসলাম। তবে, এদিন জবানবন্দি শেষ হয়নি। বিচারক এস এম জিয়াউর রহমান আগামী ২৫ অক্টোবর অবশিষ্ট জবানবন্দি এবং জেরার তারিখ ধার্য করেছেন। গত ২৩ আগস্ট মফিদুল ইসলাম সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেন। মামলাটিতে ২০ সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।

২০১৭ সালের ২১ মে সোহেল রানাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। সোহেল রানার বাবা আব্দুল খালেক মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। 

মামলার অপর আসামিরা হলেন—রানার মা মর্জিনা বেগম, সাভার পৌরসভার মেয়র মো. রেফাতউল্লাহ, সাভার পৌরসভার প্রাক্তন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়, নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল হাসান রাসেল, প্রাক্তন সহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, প্রাক্তন উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল ইসলাম, সাভার পৌরসভার প্রাক্তন টাউন প্ল্যানার ফারজানা ইসলাম ও লাইসেন্স পরিদর্শক মো. আব্দুল মোত্তালিব। আসামিদের মধ্যে মাহবুবুর রহমান ও ফারজানা ইসলাম পলাতক। সোহেল রানা কারাগারে আছেন। অপর ছয় আসামি জামিনে আছেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, সোহেল রানা ও তার বাবা আবদুল খালেক, মা মর্জিনা বেগম রানা প্লাজা নামের একটি বিপণিকেন্দ্র নির্মাণের জন্য তন্ময় হাউজিং লিমিটেড নামের একটি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেন। চুক্তি অনুযায়ী, ওই ভবনের দোতলা পর্যন্ত নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর সোহেল রানা ওই প্রতিষ্ঠানকে বিদায় করে দেন। পরে নিজেরাই ছয়তলা পর্যন্ত নির্মাণ করেন। বাণিজ্যিক ভবন হিসেবে সেখানে পোশাক কারখানা স্থাপন কর হয়। এর পর ছয়তলা ভিত্তির এ ভবনকে ১০ তলা করতে সাভার পৌরসভার অনুমোদন নিয়ে নয় তলা পর্যন্ত কাজ শেষ করা হয়।

পরবর্তী সময়ে রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় দুদকের উপ-পরিচালক এস এম মফিদুল ইসলাম বাদী হয়ে সাভার থানায় একটি মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে দুদকের ওই কর্মকর্তা সোহেল রানাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলার এজাহার থেকে আরও জানা যায়, নকশাবহির্ভূতভাবে নয়তলা ভবন নির্মাণ, সাভার পৌরসভা থেকে অবৈধভাবে পোশাক কারখানা স্থাপন করার অনুমোদন ও গার্মেন্টস ব্যবসা পরিচালনা করে আসামিরা দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা ও দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

মামুন/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়