টাপেন্টাডলের বৃহৎ চালান জব্দ
রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে ১ লাখ ২১ হাজার পিস টাপেন্টাডল মাদক জব্দ করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এটি এযাবৎকালের মধ্যে টাপেন্টাডলের সর্ববৃহৎ চালান। এ সময় মো. তামজীদ পাটোয়ারী ও মবিনুর রহমান নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তেজগাঁও (উত্তর) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মজিবুর রহমান পাটোয়ারী জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপ-পরিচালক মো. রাশেদুজ্জামানের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এবং ঢাকা মেট্রো কার্যালয়ের (উত্তর) সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে গুলশান সার্কেলের সুমনুর রহমানের সমন্বয়ে অভিযান চালিয়ে হাজারীবাগ থানার হাজী আফছার উদ্দিন রোডের ৬৮/ই/৬ ফ্ল্যাট থেকে ১ লাখ ২১ হাজার পিস টাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ নগদ ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
এ সময় মো. তামজীদ পাটোয়ারী ও মবিনুর রহমানকে আটক করা হয়। এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চক্রটিকে যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয়
টাপেন্টাডলের চোরাচালান ও অপব্যবহার সম্পর্কে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) কাছে বেশকিছু গোয়েন্দা তথ্য আছে। গত ২০ সেপ্টেম্বর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৪২ হাজার ২০০ পিস টাপেন্টাডল মাদকসহ পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অপর একটি গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, তামজীদ পাটোয়ারী ও মবিনুর রহমানের নেতৃত্বে ঢাকার ধানমন্ডি এলাকায় শক্তিশালী মাদক সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ওই সিন্ডিকেটের ব্যবসার কৌশল শনাক্ত করা হয়। একটি কুরিয়ার সার্ভিস থেকে টাপেন্টাডলের একটি বড় চালান সংগ্রহ করে হাজারীবাগ এলাকার একটি ফ্ল্যাটে মজুদ করা হয়েছে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে এবং গুলশান সার্কেলের সদস্যদের সমন্বয়ে একটি দল গঠন করে অভিযান চালানো হয়।
মাদক ব্যবসার কৌশল
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানিয়েছে, মূলত পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের তেলেঙ্গানা এবং গান্ধিনগর থেকে এসব মাদক সংগ্রহ করা হয়। প্রশান্ত সাহা নামের এক মাদক ব্যবসায়ী কুমিল্লার বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে টাপেন্টাডল মাদক দেশে নিয়ে আসে এবং বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ঢাকায় তামজীদ পাটোয়ারী ও মবিনুর রহমানের কাছে পাঠায়। তামজীদ ও মবিনুর টাপেন্টাডল সংগ্রহ করে ধানমন্ডি এলাকায় মজুদ করে।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ঢাকা, মাদারীপুরসহ কয়েকটি জেলা শহরে ক্রেতা আছে টাপেন্টাডলের। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি এড়ানো জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবহার করত মাদক ব্যবসায়ীরা। জিজ্ঞাসাবাদে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।
মাকসুদ/রফিক