গোডাউনে পটকা ও কেমিক্যাল পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস

রাজধানীর কাকরাইলে আগুন লাগা এস এ পরিবহনের গোডাউনে পটকা, আতশবাজি ও কেমিক্যাল পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। তবে কেমিক্যালগুলো কী ধরনের দাহ্য পদার্থ, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সোমবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফিংকালে এসব তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক লে. কর্নেল রেজাউল করিম।

রেজাউল করিম বলেন, আমরা পটকা ধরনে কিছু জিনিস, কিছু এগ্রো প্রোডাক্ট, কাগজপত্র পেয়েছি। যেসব কেমিক্যাল পাওয়া গেছে সেটি কী কেমিক্যাল, তা আমাদের বিস্ফোরক দল এলে বলতে পারবো। বর্তমানে আমরা থেমে থেমে কিছু আতশবাজি বা পটকা ফাটার মতো শব্দ পাচ্ছি। আমরা ধারণা করছি, গোডাউনের পার্সেলের ভেতরে পটকা বা আতশবাজি জাতীয় কিছু থেকে থাকতে পারে। এটা তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তীতে জানাতে পারবো। এখন পর্যন্ত আগুন আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। সম্পূর্ণ নির্বাপণ করতে আরও কিছু সময় লেগে যেতে পারে। বিস্ফোরণের কারণে আমাদের কাজে কিছুটা সমস্যা হয়েছে।

তিনি বলেন, এস এ পরিবহনের সঙ্গে আমরা এখনো কথা বলতে পারিনি। কী ধরনের বিস্ফোরক বা কেমিক্যাল ছিল এটা আমরা এখনো জানতে পারিনি। সাধারণ মালামালের সঙ্গে কোনোভাবেই কেমিক্যাল, পটকা, বিস্ফোরক এ ধরনের জিনিস রাখা উচিত নয় এবং কোনোভাবেই এটা গ্রহণযোগ্য নয়। এগুলো আলাদাভাবে বিশেষভাবে সংরক্ষণ ও পরিবহন করার নিয়ম। যদি সাধারণ মালামালের সঙ্গে একসঙ্গে রাখে, তাহলে তারা কাজটি ঠিক করেনি। এটি তদন্ত সাপেক্ষে বের করে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। তিনতলা ভবনটির নিচতলায় আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হই। নিচতলায় কিছু জিনিসপত্র পুড়ে গেছে। বিস্তারিত ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত করে জানাতে পারবো। এটি কার্গোতেই আগুন লেগেছিল। 

এর আগে, সকাল ১০টা ১০ মিনিটে কাকরাইলে অবস্থিত এস এ পরিবহনের প্রধান কার্যালয়ের গোডাউনে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ১০টা ১৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে আসে। এরপর একে একে আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার চেষ্টায় সকাল ১০টা ৫৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।