ঢাকা     সোমবার   ০১ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৭ ১৪৩১

পদ-পদবি জানিয়ে জয় গোপালের জামিন আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৩৬, ১০ অক্টোবর ২০২৩   আপডেট: ২১:২২, ১০ অক্টোবর ২০২৩
পদ-পদবি জানিয়ে জয় গোপালের জামিন আবেদন

জয় গোপাল সরকার

ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার কালিন্দী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ জুয়েলারি মালিক সমিতির সাবেক সহ-সম্পাদক, ছাত্রলীগের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সহ-সভাপতি—এসব পদ-পদবি উল্লেখ করে মানিলন্ডারিংয়ের মামলায় জামিন আবেদন করেছেন ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জয় গোপাল সরকার।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এ জয় গোপাল সরকারের পক্ষে অ্যাডভোকেট ইকবাল হোসেন জামিন আবেদন করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, জয় গোপাল সরকারের নাম মামলার এজাহারে ছিল না। সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে তাকে মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে অবৈধ অর্থ উদ্ধার হয়নি। ২০২১ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। তবে, ৯ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ জামিন স্থগিত করে এক বছরের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির আদেশ দেন। যা গত বছর ৯ ডিসেম্বর অতিক্রান্ত হয়েছে। এমতাবস্থায় তার জামিন দেওয়া হোক।

শুনানি শেষে জয় গোপাল সরকারের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম। সংশ্লিষ্ট আদালতের উচ্চমান বেঞ্চ সহকারী জাহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মঙ্গলবার মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ছিল। এদিন মামলার বাদী র‌্যাব-৩ এর পরিদর্শক (শহর ও যান) আবুল বাশারকে বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক ভূঁইয়া ওরফে এনু ও রুপন ভূঁইয়ার পর রি-কল সাক্ষী হিসেবে জেরা করা হয়। জেরা শেষে আগামী ৩১ অক্টোবর মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন আদালত। মামলাটিতে ২৬ সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।

মামলার অপর আসামিরা হলেন—তুহিন মুন্সী, সাইফুল ইসলাম, নবীর হোসেন শিকদার, পাভেল রহমান, শহীদুল হক ভূঁইয়া, রশিদুল হক ভূঁইয়া ও মেরাজুল হক ভূঁইয়া শিপলু। তাদের মধ্যে তুহিন ও সাইফুল জামিনে আছেন। শিপলু পলাতক। অপর আসামিরা কারাগারে আছেন।

২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর র‌্যাব-৩ এর পরিদর্শক (শহর ও যান) আবুল বাশার সূত্রাপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে ক্যাসিনো থেকে উপার্জিত অর্থ উদ্ধারের জন্য সূত্রাপুর থানাধীন বানিয়ার মুরগীটোলায় রুপন ভূঁইয়ার বাড়ি ঘেরাও করে অভিযান চালায় র‍্যাব-৩। সেখান থেকে ১৭ লাখ ১৬ হাজার ৩০০ টাকা এবং বাসার সিন্ধুকের ভিতর থেকে ৫ কেজি স্বর্ণালঙ্কার জব্দ করা হয়।

আরও বলা হয়, ৫-৬ বছর আগে থেকে এনামুল হক এনু এবং তার ভাই রুপন ভূঁইয়া অন্যান্য আসামিদের সহায়তায় মতিঝিল ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে ওয়ান-টেন জুয়া খেলা শুরু করে। রুপন ভূঁইয়া অপর আসামিদের সহায়তায় অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসা থেকে উপার্জিত আয়ের অবৈধ প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন বা ছদ্মাবৃত্ত করার অপরাধ করেন, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ধারার মধ্যে পড়ে। 

২০২১ সালের ২৬ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

মামুন/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়