ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহার করে প্রতারণা, কারাগারে প্রতারক

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:২৯, ১১ অক্টোবর ২০২৩  
প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহার করে প্রতারণা, কারাগারে প্রতারক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নিজের ছবি মানুষকে দেখিয়ে প্রতারণামূলকভাবে অর্থ আত্মসাত ও চাঁদা দাবির মামলায় সাইফুল ইসলাম সজীব নামের এক ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১১ অক্টোবর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন আসামি সাইফুল ইসলাম সজীব। এদিন আসামিপক্ষে জামিনের আবেদন শুনানি করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি কাজী নজিবুল্লাহ হিরু ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার গোলাম কিবরিয়া জোবায়ের। অপরদিকে, বাদীপক্ষে জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে শুনানি করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি
গাজী মো. শাহ আলম, মো. শামসুল হুদা ও এম এ সাত্তার। 

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকী-আল-ফারাবীর আদালত আসামির জামিনের আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সাইফুল ইসলাম সজীবের বিরুদ্ধে সিএমএম আদালতে মামলাটি করেন তৌহিদুল ইসলাম। আদালত হাতিরঝিল থানার ওসিকে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার আদেশ দেন। পরে আসামি গত ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পান।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, সাইফুল ইসলাম সজীব প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার একটি ছবি দেখিয়ে জনগণের মধ্যে নিজেকে অত্যন্ত ক্ষমতাবান ও প্রভাবশালী বলে প্রচার করতে থাকেন। একসময় আসামি বাদীর মোটরসাইকেলের শোরুমে এসে প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত কাছের লোক বলে পরিচয় দেন এবং বাদীকে বলেন যে, আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বড় করার জন্য ব্যাংক থেকে ঋণের ব্যবস্থা করে দেবো। আসামির কথা শুনে বাদী আসামির অফিসে গিয়ে দেখেন, প্রধানমন্ত্রীর সাথে তার ছবি দেওয়ালে টাঙানো।

 একপর্যায়ে আসামি বাদীকে ২০ লখ টাকা ঋণ মঞ্জুর করে দিতে পারবে বলে জানান। ঋণ প্রসেসিং ফি বাবদ ১ লাখ টাকা খরচ হবে বলে বাদীকে জানান। তখন বাদী সরল বিশ্বাসে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা দেন। কিছুদিন পর বাদীর ঋণ মঞ্জুর না হওয়ায় আসামির কাছে টাকা ফেরত চান বাদী। তখন আসামি বাদীকে টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো আরও ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। অন্যথায় বাদীকে অপহরণ করার হুমকি দেন আসামি। 

মামুন/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়