ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

মনজিল হত্যা: দুই ম্যাজিস্ট্রেটসহ পাঁচজনের সাক্ষ্য  

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:০৩, ১৭ অক্টোবর ২০২৩  
মনজিল হত্যা: দুই ম্যাজিস্ট্রেটসহ পাঁচজনের সাক্ষ্য  

এ কে এম মনজিল হক (ফাইল ফটো)

রাজধানীর আফতাবনগরে নিজ ফ্ল্যাটে এ কে এম মনজিল হককে হত্যার মামলায় তৎকালীন দুই ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল হক ও দেবব্রত বিশ্বাসসহ পাঁচজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। 

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন। অন্য সাক্ষীরা হলেন—ডা. প্রদীপ বিশ্বাস, পুলিশের এএসআই টুটুল হোসেন ও কনস্টেবল মোস্তফা। 

এর পর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের জেরা করেন। তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আগামী ২৬ অক্টোবর পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। 

এ নিয়ে মামলাটিতে ৩১ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান।

মামলার আসামিরা হলেন—মনজিলের সৎ মা লায়লা ইয়াসমিন লিপি, সৎ মামা আবু ইউসুফ নয়ন, সৎ ভাই এ কে এম ইয়াসিন হক, চাচা ফারুক মিয়া, রবিউল ইসলাম সিয়াম ও আবু ইউসুফ নয়ন। মাহফুজুল ইসলাম অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তার বিচার শিশু আদালতে হচ্ছে।

২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বর রাজধানীর আফতাবনগরে নিজ ফ্ল্যাটে হত্যার শিকার হন ও লেভেল পড়ুয়া মনজিল হক (২৮)। এ ঘটনায় তার চাচা ফারুক মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে মামলা করেন।

পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) তদন্তে উঠে আসে যে, সম্পত্তির লোভে মনজিলকে হত্যা করে সৎ মা লায়লা ইয়াসমিন লিপি, সৎ মামা আবু ইউসুফ নয়ন, সৎ ভাই এ কে এম ইয়াসিন হক (২৫) ও মামলার বাদী চাচা ফারুক মিয়া (৫৮)।

২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডি’র ইন্সপেক্টর মো. শামসুদ্দিন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাদী ফারুক ও নিহত মনজিলের বাবা মনা আপন ভাই। তারা একসঙ্গে গার্মেন্টসের ব্যবসা করতেন। শান্তিনগর বাজারের পিছনে মনার ছেলে মনজিল ও ইয়াসিন এবং ফারুকের ছেলের যৌথ নামে একটি ফ্ল্যাট ছিল। কিন্তু, মনা ওই ফ্ল্যাটটি তার ছেলেদের দিয়ে দলিল করিয়ে নিয়ে বিক্রি করে দেয়। এ নিয়ে মনার সঙ্গে ফারুকের দ্বন্দ্ব ছিল। মনা মারা যাওয়ার পর মনজিলের ওপর ক্ষোভ ছিল ফারুকের। ওই ক্ষোভ থেকেই মনজিলকে হত্যার পরিকল্পনায় যোগ দেয় ফারুক।

মামুন/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়