স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজিসহ ৬ জনের মামলার সাক্ষ্য পেছালো
![স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজিসহ ৬ জনের মামলার সাক্ষ্য পেছালো স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজিসহ ৬ জনের মামলার সাক্ষ্য পেছালো](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2023October/top-2306220859-2311050910.jpg)
মোহাম্মদ আবুল কালাম। ফাইল ছবি
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালামসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৭ ডিসেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার (৫ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমামের আদালতে মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ছিলো। তবে এদিন বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধের কারণে আসামি সাহেদকে আদালতে হাজির করেনি কারা কর্তৃপক্ষ। এজন্য বিচারক মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী এ তারিখ ধার্য করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতে উচ্চমান বেঞ্চ সহকারী ফকির মো. জাহিদুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
এখন পর্যন্ত মামলাটিতে ৫ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।
মামলার অন্য ৫ আসামি হলেন-রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ডা. আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক ডা. মো. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক ডা. মো. শফিউর রহমান এবং গবেষণা কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল ইসলাম।
গত বছর ১২ জুন ৬ আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত।
২০২১ সালে আবুল কালাম আজাদসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।
চার্জশিটে আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স নবায়নবিহীন বন্ধ রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ও সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে ৩ হাজার ৯৩৯ জন কোভিড রোগীর নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করার অভিযোগ আনা হয়েছে। যেখান থেকে তারা অবৈধ পারিতোষিক বাবদ রোগী প্রতি ৩,৫০০ টাকা হিসেবে মোট এক কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা গ্রহণ করেন। এছাড়া চার্জশিটে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের খাবার খরচ বরাদ্দের বিষয়ে ১ কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার মাসিক চাহিদা তুলে ধরাসহ সমঝোতা স্মরকের খসড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে সর্বমোট ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৬ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫ ( ২ ) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। সেখানে আবুল কালাম আজাদকে আসামি করা হয়নি। তবে তদন্তে নাম আসায় চার্জশিটে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
/মামুন/এসবি/
আরো পড়ুন