সেফুদাকে খালাস দেওয়ায় ক্ষুব্ধ বাদী

ফেসবুক লাইভে পবিত্র কোরআন শরিফের অবমাননা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে অশ্লীল ও আক্রমণাত্মক কথা বলার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় খালাস পেয়েছেন সেফাতউল্লাহ ওরফে সেফুদা।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালত তাকে খালাসের রায় দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম শামীম জানান, আজ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, তিনি আদালতে আসেননি। সাক্ষী না আসায় আদালত তাকে মামলা থেকে খালাস দিয়েছেন।

এদিকে, সেফুদাকে মামলা থেকে খালাস দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাদী অ্যাডভোকেট মো. আলীম আল রাজী (জীবন)। তিনি বলেছেন, আমি এ মামলায় সাক্ষী দিয়েছি। এর পর একটা ডেট গেছে, সাক্ষী আসেনি। আজ আমি অসুস্থ থাকায় টাইম পিটিশন দেওয়া হয়। আদালত থেকে সাক্ষীদের সমন পাঠানো হয়েছে। সমন ফেরতও আসেনি। এটি কোরআন শরিফ অবমাননা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তির মামলা। কীভাবে তিনি পলাতক একজন আসামিকে খালাস দিলেন? রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।

২০১৯ সালের ২৩ এপ্রিল ঢাকা বারের আইনজীবী মো. আলীম আল রাজী জীবন মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ৯ এপ্রিল বাদী ফেসবুকে দেখতে পান যে, অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা প্রবাসী সেফাতউল্লাহ ওরফে সেফুদা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে পবিত্র আল কোরআন সম্বন্ধে বিভিন্ন ধরনের আজেবাজে কথা বলছেন, যা সমগ্র ইসলামী বিশ্বকে মারাত্মকভাবে আহত করছে। লাইভটি ভাইরাল হওয়ায় প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এ আসামি একইভাবে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিভিন্ন সময় লাইভে এসে কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল, আক্রমণাত্মক ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়েও কটূক্তি করেছেন।

২০১৯ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের উপ-পরিদর্শক পার্থ প্রতিম ব্রহ্মচারী সেফুদার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ৩০ সেপ্টেম্বর সেই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। ২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি আদালত সেফুদার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। এর পর আলীম আল রাজী (জীবন) সাক্ষ্য দেন।