জাতীয় নির্বাচন
‘কবজি কাটা গ্রুপ’ বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করছে: র্যাব
গ্রেপ্তার ৯ জন। ছবি: র্যাব
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত ‘কব্জি কাটা গ্রুপ’র অন্যতম হোতা টাকলা হায়াতসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর মোহাম্মাদপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. হায়াত ওরফে টাকলা হায়াত, মো. সাগর, মো. ইসমাইল হোসেন ও মো. সুমন। র্যাব-২ অপর একটি দল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থান এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ‘বিরিয়ানী সুমন গ্রুপ’র হোতা মো. সুমন ওরফে বিরিয়ানী সুমন, মো. বাদল, মো. আকাশ, মো. রাব্বি ও মো. রাসেলকে গ্রেপ্তার করে।
খন্দকার আল মঈন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্য ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম করছে। এসব সন্ত্রাসীদের হামলা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক সাধারণ ডায়েরি ও মামলা হয়। বিভিন্ন গ্রুপের সন্ত্রাসীরা নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে এক গ্রুপ অন্য গ্রুপের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে মারামারি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করার প্রবণতাও লক্ষ্য করা যায়। অতি সম্প্রতি মোহাম্মদপুর ও তার আশেপাশের এলাকায় বেশ কয়েকটি ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও অন্যান্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তথ্য পায় র্যাব। ফলশ্রুতিতে র্যাবের টহল ও গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার চারজন ‘কব্জি কাটা গ্রুপ’ এবং পাঁচজন ‘বিরিয়ানী সুমন গ্রুপ’র সদস্য। তাদের দুটি গ্রুপে প্রায় ৩০-৩৫ জন সদস্য রয়েছে। কব্জি টাকা গ্রুপটি সন্ত্রাসী আনোয়ার ও টাকলা হায়াতের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে পরিচালিত হয়। এছাড়াও তারা ‘আনোয়ার সিন্ডিকেট’ নামেও পরিচিত। এই গ্রুপের সদস্যরা আগে ‘আনোয়ার গ্রুপ’ নামে অন্তর্ভুক্ত ছিল। নিজেদের মধ্যে কোন্দলের কারণে তারা ২-৩টি গ্রুপে বিভক্ত হয়। বিরিয়ানি সুমন গ্রুপটি সুমন ওরফে বিরিয়ানী সুমনের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে পরিচালিত হয়ে আসছে।
সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার আল মঈন
খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা মোহাম্মদপুর, আদাবর, বেড়িবাঁধ ও ঢাকা উদ্যান এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতো। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যক্তির স্বার্থ হাসিলের জন্য টাকার বিনিময়ে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবেও কাজ করতো। এছাড়াও তারা মাদক সেবনসহ এলাকাগুলো মাদক কারবারির সঙ্গেও জড়িত ছিল।
র্যাব জানায়, নির্বাচনে আধিপত্য বিস্তারের জন্য বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতো তারা। গাড়ির হেলপার-ড্রাইভার, দোকানের কর্মচারী, নির্মাণ শ্রমিক, পুরাতন মালামাল ক্রেতা, সবজি বিক্রেতা ইত্যাদি পেশার আড়ালে তারা মূলত মোহাম্মদপুর ও তার আশেপাশের এলাকায় ডাকাতি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করতো।
/মাকসুদ/এসবি/