ঢাকা     শুক্রবার   ০৮ নভেম্বর ২০২৪ ||  কার্তিক ২৪ ১৪৩১

বিএনপি নেতা নবীর পরিকল্পনায় ট্রেনে আগুন: ডিবি প্রধান 

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:১৯, ৬ জানুয়ারি ২০২৪  
বিএনপি নেতা নবীর পরিকল্পনায় ট্রেনে আগুন: ডিবি প্রধান 

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ বলেছেন, গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার দুদিন আগে অনলাইন বৈঠকে পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনার অন্যতম হোতা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী। তিনি এ হামলার পরামর্শক ও অর্থদাতা বলে প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে। 

শনিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ডিবি প্রধান এ কথা বলেন। 

ডিবি প্রধান আরও বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার দুদিন আগে গ্রেপ্তারকৃতরা অনলাইনে বৈঠক করেন। এদের মধ্যে কাজী মনসুর নামে একজন জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য দিয়েছেন। ট্রেনে আগুন লাগার আগে বিএনপির ১০-১১ জন ভিডিও কনফারেন্স করেন। সেখানে তারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছুর পরিকল্পনা করেন। বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের আগুনের পরিকল্পনা হিসেবে বিএনপির হাই-প্রোফাইল নেতারা ভিডিও কনফারেন্স করেন। কনফারেন্সে প্রথমে আসেন মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার এনাম। এরপর আসেন সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন, যুগ্ম আহ্বায়ক এমএ গফফার ইকবাল হোসেন বাবলু, একজন দপ্তর সম্পাদক ও কাজী মনসুর।

তিনি বলেন, ভিডিও কনফারেন্সে এসে বৃহত্তর ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী ট্রেনে, বিশেষ করে নরসিংদীর কাছে সুবিধাজনক স্থানে অগ্নিসংযোগ করার কথা বলেন। এরপর আরেকটি স্থান তারা নির্ধারণ করেন। কমলাপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ লাইনের আপডাউনের স্থানে যাত্রীবাহী ট্রেনে আগুন লাগিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করার পরিকল্পনা করেন। ঢাকা দক্ষিণ যুবদলের নেতা রবিউল ইসলাম নয়নের তত্ত্বাবধানে কয়েকটি টিম লালবাগের কয়েকজন দাগি সন্ত্রাসী দিয়ে বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন দেয়। ভিডিও কনফারেন্সে বলা হয়, ট্রেনে কে আগুন লাগাবেন? কনফারেন্সে থাকা ১০-১২ জনের একজন বলেন, তিনি আগুন লাগাতে পারবেন। তবে তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে তার নামটি আমরা বলবো না। এ ছাড়াও, ভিডিও কনফারেন্সে থাকা আরও তিন জন আগুন লাগাতে পারবেন বলে জানায়। তারা ২০১৩-১৪ সালে বিভিন্ন এলাকায় বোমা নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগ করেছিল। তারা মিলে যাত্রাবাড়ীর আশপাশে এলাকায় থেকে ট্রেনটিতে অগ্নিসংযোগ করে। এ বিষয়টি আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি। তদন্তে আর কারও সংশ্লিষ্টতা পেলে তাকেও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাতে গোপীবাগের কাছে বেনাপোল এক্সপ্রেস এসে পৌঁছলে মুহূর্তের মধ্যে ট্রেনের চারটি বগিতে আগুন ছড়িয়ে যায়। ভয়াবহ ওই আগুনে এক নারীসহ চার জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রেলওয়ে থানা পুলিশ মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ঢাকা/মাকসুদ/এনএইচ 


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়