ঢাকা     বুধবার   ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১০ ১৪৩১

এএসপি আনিস হত্যা: আজও কোনো সাক্ষী আসেননি

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:০৬, ১৪ জানুয়ারি ২০২৪  
এএসপি আনিস হত্যা: আজও কোনো সাক্ষী আসেননি

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম হত্যা মামলায় আজও কোনো সাক্ষী সাক্ষ্য দিতে আদালতে আসেননি।

রোববার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালতে মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ছিলো। কিন্তু এদিন কোনো সাক্ষী আদালতে হাজির হননি। এজন্য আদালত আগামী ১১ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, গত ৯ নভেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম দিনেও কোনো সাক্ষী সাক্ষ্য দিতে আসেনি। গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত।

আরো পড়ুন:

আসামিরা হলেন- জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুন, মাইন্ড এইড হাসপাতালের পরিচালক আরিফ মাহামুদ, ফার্মাসিস্ট তানভীর হাসান, কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন, সাজ্জাদ আমিন ও ফাতেমা খাতুন, হাসপাতালের সমন্বয়ক রেদোয়ান সাব্বির, হাসপাতালের কর্মচারী মাসুদ খান, জোবায়ের হোসেন, তানিফ মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম কুমার পাল, লিটন আহম্মেদ, সাইফুল ইসলাম ও আবদুল্লাহ আল-আমিন।

আসামিদের মধ্যে অসীম কুমার পাল কারাগারে আছেন। শাখাওয়াত হোসেন পলাতক রয়েছেন। অপর ১৩ আসামি জামিনে আছেন।

উল্লেখ্য, এএসপি আনিসুল করিম মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তাকে মাইন্ড এইড হাসপাতালে নেওয়া হয়। ভর্তির কিছুক্ষণ পর ওই হাসপাতালের কর্মচারীদের ধস্তাধস্তি ও মারধরে আনিসুল করিমের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ফাইজুদ্দীন আহম্মেদ বাদী হয়ে আদাবর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২০২২ সালের ৮ মার্চ এ মামলায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার পরিদর্শক মো. ফারুক মোল্লা।

মামলায় ডা. নুসরাত নামে কাউকে আসামি করা না হলেও মামলা দায়েরের পর তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন। পরবর্তীতে এএসপি আনিসের পরিবারের সদস্যরা ধারণা করেন, ডা. নুসরাত ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এজন্য মামলাটি পুনরায় তদন্তের আবেদন করেন আনিসের বাবা ফাইজুদ্দীন আহম্মেদ। পরে আদালত তা মঞ্জুর করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) এ কে এম নাসির উল্যাহ জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

মাইন্ড এইড হাসপাতালের পরিচালক মুহাম্মদ নিয়াজ মোর্শেদ মৃত্যুবরণ করায় এবং ডা. নুসরাত ফারজানার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় মামলা থেকে তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

মামুন/ইভা

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়