স্ত্রী-কন‌্যাসহ মেজর মান্নানের বিরুদ্ধে দুদ‌কের মামলা

কোম্পানির নামে ৩ কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর ও সাড়ে ৩৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স করপোরেশন লিমিটেডের (বিআইএফসি) সাবেক চেয়ারম্যান ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, তার স্ত্রী ও দুই কন্যাসহ ১৩ জনকে আসা‌মি ক‌রে আরও এক‌টি মামলা দা‌য়ের ক‌রে‌ছে ‍দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক মো. আব্দুল মাজেদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন ব‌লে দুদকের সংশ্লিষ্ট সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন- বিআইএফসি’র সাবেক চেয়ারম্যান ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, তার স্ত্রী ও বিআইএফসি’র সাবেক চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম মান্নান, কন্যা মিস তানজিলা মান্নান ও মিস তাজরিনা মান্নান। তানজিলা ও তাজরিনা উভয়ই বিআইএফসি সাবেক পরিচালক।

আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৬/৪০৯/৪৬৬/৪৬৭/৪৭১/৪২০/১০৯ ধারা, ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৩(২) ও ৪(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার এজাহা‌র থে‌কে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ইতোমধ্যে বিক্রিত প্রতিষ্ঠান ট্রান্সকো লিমিটেডের নামে জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিন কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর ও বিতরণ দেখিয়ে ওই টাকা ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠান ট্রান্সকো লিমিটেডের ব্যাংক হিসাবে জমা না দিয়ে মেজর (অব.) মান্নান ও উম্মে কুলসুমের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বিআইএফসির সহযোগী প্রতিষ্ঠান রুনা প্রপার্টিজ ও রবিনসন ফেব্রিকেশনের হিসাবে স্থানান্তর করেছেন। তারপর ওই টাকা সানম্যান গ্রুপের নামে নিয়ে স্তর বিন্যাস ঘটিয়ে পুনরায় ওই টাকা বিএফআইসি’র হিসাবে জমা দেখিয়ে রূপান্তর ঘটানোর মাধ্যমে সর্বমোট ৩ কোটি টাকা মানিলন্ডারিং অপরাধ করেছে। একই সঙ্গে ৩৭ লাখ ৫৯ হাজার ৫৮৫ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

মামলার বাকি আসামিরা হলেন- রবিনসন ফ্যাব্রিকেশনসের মালিক মো. আমিনুর রহমান খান, রুনা প্রপার্টিজের মালিক নাহিদা আক্তার, বিআইএফসি পরিচালক এএনএম জাহাঙ্গীর আলম, আব্বাস উদ্দিন আহমেদ, আরশাদ উল্লাহ, বিআইএফসি’র এমডি ইনামুর রহমান, সাবেক সিনিয়র অফিসার মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, প্রিন্সিপাল অফিসার কাজী আহসান মারুফ, সাবেক এভিপি মো. আওলাদ হোসেন।

বিআইএফসি থেকে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ঋণ মঞ্জুর ও আত্মসাতের ঘটনায় মেজর মান্না‌নের বিরুদ্ধে দুদ‌কের এটি ১৩তম মামলা। এর আগে, বিআইএফসি থেকে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ঋণ মঞ্জুর ও বিতরণের অভিযোগে মেজর মান্নানের বিরুদ্ধে ১২টি মামলা দা‌য়ের করে দুদক। যার মধ্যে দুটি মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়েছে ও ১১টি মামলা এখনও তদন্তাধীন রয়েছে।