ঢাকা     সোমবার   ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৮ ১৪৩১

‘আয়ানের খৎনায় যে পরিমাণ ওষুধ ব্যবহার হয়েছে, হার্টের বাইপাসেও এত লাগে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২৬, ২৯ জানুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ১৬:২৮, ২৯ জানুয়ারি ২০২৪
‘আয়ানের খৎনায় যে পরিমাণ ওষুধ ব্যবহার হয়েছে, হার্টের বাইপাসেও এত লাগে না’

‘শিশু আয়ান আহমেদের সুন্নতে খৎনা করার সময় যে পরিমাণ ওষুধ ব্যবহার করা হয়েছে, হার্টের বাইপাসেও এত ওষুধ লাগে না’ বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

এদিকে, আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ‘লোক দেখানো (আইওয়াশ) ও হাস্যকর’ বলেও মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, দায় এড়ানোর জন্যই তারা (স্বাস্থ্য অধিদপ্তর) এ ধরনের রিপোর্ট দাখিল করেছে। শিশু আয়ানের অ্যাজমা সমস্যা থাকার কথা জানার পরও কেন চিকিৎসকরা অপারেশনের জন্য এত তাড়াহুড়া করলেন?

আদালত এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি তারিখ ধার্য করেছেন।

এদিন প্রতিবেদনটি আদালতে তুলে ধরেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাড. এবিএম শাহজাহান আকন্দ মাসুম।

এর আগে, রোববার (২৮ জানুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে উপ-পরিচালক (আইন) ডা. পরিমল কুমার পাল এ প্রতিবেদন জমা দেন।

গত ৯ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবিএম শাহজাহান আকন্দ মাসুম কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন। রিটে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

গত ১৫ জানুয়ারি শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনা ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়। পাশাপাশি দেশের সব সরকার অনুমোদিত ও অননুমোদিত হাসপাতাল-ক্লিনিকের তালিকা এক মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। 

উল্লেখ্য, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর রাজধানীর সাঁতারকুল ইউনাইটেড মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শিশু আয়ানকে। অনুমতি ছাড়াই ফুল অ্যানেস্থেসিয়া দিয়ে সুন্নতে খৎনা করান চিকিৎসক। এরপর আর জ্ঞান ফেরেনি তার। টানা সাত দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ৭ জানুয়ারি মধ্যরাতে আয়ানকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

মামুন/এনএইচ


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়