ঢাকা     রোববার   ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১৪ ১৪৩১

আদালতপাড়ায় গৃহবধূকে গণধর্ষণ: দুই আসামি কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৪৮, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  
আদালতপাড়ায় গৃহবধূকে গণধর্ষণ: দুই আসামি কারাগারে

ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের মামলায় দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তারা হলো—ফজলুল হক ও রুবেল।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালী থানার পুলিশ পরিদর্শক মেহেদী হাসান আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আসামিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট আমানউল্লাহ জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আসামিদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কোতয়ালী থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ কালাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।

গণধর্ষণের অভিযোগে ওই গৃহবধূ কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় দায়েরের পর দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত বছরের ১০ ডিসেম্বর থেকে স্বামীর সঙ্গে বাদীর যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। তিনি জানতে পারেন, তার অনুমতি ছাড়াই ঢাকায় দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন স্বামী। খবর নেওয়ার জন্য ঢাকার মোহাম্মদপুরে স্বামীর ভাড়া বাসায় আসেন ওই নারী। ২০-২৫ দিন থাকার পর তাকে মারপিট করেন স্বামী। পরে ওই গৃহবধূ মোহাম্মদপুর থানায় জিডি করতে যান। জিডির খবর পেয়ে তার স্বামী বাসা ছেড়ে দ্বিতীয় স্ত্রীসহ বগুড়ায় চলে যান। বাদী তখন তার গ্রামের বাড়িতে চলে যান। গত ২১ জানুয়ারি তিনি আবার ঢাকায় আসেন। ২৮ জানুয়ারি দুপুর ২টার দিকে ঢাকার সিএমএম কোর্ট চত্বরে যান ওই গৃহবধূ। সেখানে গিয়ে তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য একজন আইনজীবীর খোঁজ করার সময় মো. ফজলুলের সঙ্গে পরিচয় হয়। ফজলুল তাকে তার পরিচিত একজন ভালো আইনজীবী আছে বলে জানায় এবং তার সাথে যাওয়ার জন্য বলে। বাদী ফজলুলের কথায় বিশ্বাস করেন। আইনজীবীর সাথে কথা বলার জন্য বাদীকে ২৮ জানুয়ারি দুপুর আড়াইটার দিকে কোতয়ালী থানাধীন ঢাকার সিজেএম কোর্টের মেইন গেট সংলগ্ন পানির পাম্পে ফজলুলের থাকার রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। ফজলুল তাকে রুমের ভেতরে বসিয়ে রেখে আইনজীবীকে ডেকে নিয়ে আসার কথা বলে বাইরে যায়। কিছু সময় পর ফজলুল চারটি ওয়ান টাইম চায়ের কাপসহ রুবেল ও অজ্ঞাত আরও একজনকে নিয়ে আসে। ফজলুল একটি কাপে বাদীকে পান করার জন্য এক কাপ চা দেয়। বাদী চা পান করার পর তার চন্দ্রাচ্ছন্ন ভাব আসে। পরে তাকে গণধর্ষণ করা হয়।

মামুন/রফিক


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়