ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০৪ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২০ ১৪৩১

নিজেকে নির্দোষ দাবি করতে পারলেন না আজিজ মোহাম্মদ ভাই

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:০৮, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ১৬:১৭, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
নিজেকে নির্দোষ দাবি করতে পারলেন না আজিজ মোহাম্মদ ভাই

আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করতে পারলেন না ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজসহ পাঁচ জন। অপর চার আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান।

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক এম আলী আহমেদের আদালতে মামলাটি আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানির জন্য ছিল। এদিন আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী, তারিক সাঈদ মামুন, ফারুক আব্বাসী জামিনে থেকে আদালতে হাজিরা দেন। সানজিদুল ইসলাম ইমনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চান।

সংশ্লিষ্ট আদালতের স্টেনোগ্রাফার তানভীর হাসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন পলাতক রয়েছেন। এজন্য তারা আত্মপক্ষ শুনানি করতে পারেননি। আদনান সিদ্দিকীর পক্ষে তার আইনজীবী হাজিরা দেন। তবে এদিন তার পক্ষে কোনও পদক্ষেপ ছিল না। এজন্য আদালত তার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। তিনিও আত্মপক্ষ শুনানি করতে পারেননি।

আগামী ৩ মার্চ যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। কোনও সাক্ষী সাক্ষ্য দিতে আদালতে না আসায় গত ২৮ জানুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করেন আদালত। মামলাটিতে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।

উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর বনানীর ১৭ নম্বর রোডের আবেদীন টাওয়ারে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা যান নায়ক সোহেল চৌধুরী। ওই ঘটনায় সোহেল চৌধুরীর ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী রাজধানীর গুলশান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দুই নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

ওই বছরই এক আসামি মামলা বাতিলে হাইকোর্টে আবেদন আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৩ সাল থেকে হাইকোর্টের আদেশে মামলার বিচারকাজ স্থগিত ছিল। ২০১৫ সালে সেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হয়। তারও সাত বছর পর গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলার নথি বিচারিক আদালতে ফেরত আসলে সাক্ষ্য গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরুর উদ্যোগ নেন বিচারিক আদালত।

ঢাকা/মামুন/এনএইচ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়