ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

গৃহকর্মীর মৃত্যুর বিষয়ে আদালতে যা বললেন আশফাকুল ও তার স্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:১৩, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  
গৃহকর্মীর মৃত্যুর বিষয়ে আদালতে যা বললেন আশফাকুল ও তার স্ত্রী

গৃহকর্মীর ‘অবহেলাজনিত মৃত্যু’র মামলায় ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক ও তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকারের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাব-ইন্সপেক্টর নাজমুল হাসান আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

আসামিদের পক্ষে চৈতন্য চন্দ্র হালদার, আশরাফ উল আলম আসামিদের রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়। 

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত সেদিনের ঘটনার (ভবন থেকে পড়ে গৃহকর্মীর মৃত্যু) বিষয়ে আসামিদের বক্তব্য জানতে চান। তখন আশফাকুল হক বলেন, আমার মেয়ে বিদেশে থাকে। এ ঘটনার এক দিন আগে সে দেশে আসে। তাকে দেখতে আত্মীয়-স্বজন আসে। আগে একটা মেয়ে ওই জায়গা থেকে পড়ে আহত হয়, সে বিষয়টা আলাপে উঠে আসে। রাতে গল্প করে আমরা ঘুমিয়ে পড়ি। সকাল ৮টার দিকে চিৎকার শুনি। আমাদের বাসা জেনেভা ক্যাম্পের পাশে। ছেলেরা বাসার পাশে মাঠে খেলাধুলা করে। আমার স্ত্রী বলে, হয়ত তারা চিৎকার করছে। পরে দেখি, অনেক লোক। ওই জায়গার গ্লাস খোলা। মেয়েটা নেই। এরই মাঝে শত শত লোক জমা হয়ে যায়। আমি রেডি হয়ে নিচে নামতে যাই। তখন গার্ডের সাথে পাশের বিল্ডিংয়ের এক প্রতিবেশী আসে। তারা বলে, আপনার বাসা থেকে একটা মেয়ে পড়ে গেছে। অনেক লোক জমে যাওয়ায় আর নিচে যেতে পারিনি। জায়গাটা ফ্লোর থেকে ৫-৬ ফুট উঁচুতে। রাতের ওই আলোচনা শুনে অতি আগ্রহী হয়ে হয়ত সেখানে গেছে। নয়ত ক্লিন করতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।

তানিয়া খন্দকার বলেন, মেয়েটা অনেক চঞ্চল ছিল। ওর বড় বোন আমার বাসায় কাজ করত। আমি ওকে বার বার নিষেধ করেছি, সেখানে যাস না। আমি বলেছি, ওখানে কুফা আছে, যাবি না। ওর বোন বলেছে, শয়তান আছে যাবি না। ঘটনার দিন সকালে ও পানি খেয়েছে, ফ্রিজ থেকে পিঠা বের করেও খেয়েছে। ওই বিষয় নিয়ে অনেক আগ্রহ ছিল। হয়ত এই কারণে সেখানে গেছে। আর পড়ে গেছে।

তখন আদালত সিসি ক্যামেরার বিষয়ে জানতে চান। আশফাকুল হক বলেন, ক্যামেরা ছিল। তবে খুব সস্তা। আমার স্ত্রী এটা অনলাইন থেকে কিনেছে। কোনো মেমোরি ছিল না।

পরে আদালত বলেন, তাদের উত্তরে আদালত সন্তুষ্ট না। চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হলো।

মামুন/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়