‘ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে পুলিশের সব ইউনিট একযোগে কাজ করছে’

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে যে কোনও প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ ফোন করে পুলিশের সেবা নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। জনগণের ঈদ যাত্রা যেন স্বস্তিদায়ক হয় সেজন্য পুলিশের সব ইউনিট একযোগে কাজ করছে।  

রোববার (৭ এপ্রিল) বিকেলে সায়দাবাদ জনপথ মোড়ে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

পুলিশপ্রধান বলেন, ঈদের সময় ঢাকা শহরে বিশেষ চাপ লক্ষ করা যায়। ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নারীর টানে মানুষ ঈদের ছুটিতে যাতায়াত করে। আমরা লক্ষ্য করেছি, ইতোমধ্যে ঈদযাত্রা শুরু হয়ে গিয়েছে। আমরা আশা করছি, আগামীকাল থেকে ঈদের যাত্রীদের বড় চাপ শুরু হবে। আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকা থেকে বাহিরে যাওয়ার যাত্রীদের একটা চাপ থাকবে। জনগণের ঈদ যাত্রা যেন স্বস্তিদায়ক হয় সেজন্য পুলিশের সকল ইউনিট একযোগে কাজ করছে। ঈদযাত্রীদের যাত্রা নিরাপদ করতে পুলিশের সকল সদস্য প্রস্তুত রয়েছে এবং একযোগে কাজ করছে। মাঠ পর্যায়ে পুলিশের সকল সদস্যরা কাজ করছে। তাদের তদারকি করছে আমাদের সিনিয়র অফিসাররা। ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় সমন্বয়ে সভা করেছে। আমরা সম্মানিত যাত্রীদের বলতে চাই, আপনারা নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোনও যানবাহনের যাত্রী হবেন না। আমরা সকলে ঈদের আনন্দ আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে ভাগাভাগি করার জন্য নাড়ির টানে যাত্রা করছি। আমরা কেউ দুর্ঘটনা কবলিত হয়ে আত্মীয়স্বজনদের কাছে যেতে চাই না। অনেককে দেখা যায় ট্রাকসহ বিভিন্নভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ঈদযাত্রা করে। মহাসড়কে নসিমন, করিমনসহ ভটভটি জাতীয় বাহনের চলাচল বন্ধ থাকবে। ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে। রাস্তায় মোবাইল কোর্ট থাকবে। বেপরোয়া গতিতে যেন গাড়ি চালানো না হয় সেজন্য সকল চালককে অনুরোধ জানাব। 

তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে পর্যটনকেন্দ্রে জনসমাগম হবে। পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে পর্যাপ্ত টুরিস্ট পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। টুরিস্ট পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য মহানগর পুলিশ, জেলা পুলিশসহ সকল ইউনিট সুষ্ঠু সমন্বয় করে কাজ করবে। ঈদের ছুটিতে অনেকেই বাড়ি যাবেন। ঈদের ছুটিতে ফাঁকা বাড়িতে কেউ যাতে অপরাধ সংঘটিত না করতে পারে সেজন্য আপনারা ফ্ল্যাট বাড়ির নিরাপত্তার জন্য পাহারাদার নিয়োজিত করেন। অনেক সময় দেখা যায়, অপরাধ সংগঠিত হলে সিসিটিভির ক্যামেরা অন্য দিকে মুখ করে থাকে। সিসি ক্যামেরা ঠিক আছে কিনা এবং যেদিকে মুখ করে থাকার কথা সেদিকে আছে কি না, তা আপনারা চেক করে নেবেন। যাতে করে অপরাধ সংগঠিত হলে পাহারাদার না ধরতে পারলেও আমরা যেন গিয়ে অপরাধীদের শনাক্ত করতে পারি। ঈদের সময়ে দ্রুত কেনাকাটা হয়। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একটি চক্র জাল টাকা ছড়িয়ে দেয়। ফলে জাল টাকার কারণে অনেকে প্রচারিত হন। তাই জাল টাকার বিশেষ সবাই সতর্কতা অবলম্বন করবেন এবং পুলিশকে জানাবেন।