ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে পি কে হালদারের দুই সহযোগী

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:১১, ৪ জুন ২০২৪   আপডেট: ১৮:৩৭, ৪ জুন ২০২৪

গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের সহযোগী ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের সাবেক পরিচালক বাসুদেব ব্যানার্জী এবং তার স্ত্রী পাপিয়া ব্যানার্জীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৪ মে) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মঙ্গলবার এ দুই আসামি ১৫ মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। তাদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর ও মীর আহাম্মদ আলী সালাম জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। দুদকের কোর্ট ইন্সপেক্টর আমির হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।

জানা গেছে, জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদক ২০২১ সালে বেশকিছু মামলা করে। এর মধ্যে গত ৯ মে উচ্চ আদালত থেকে ১৫টি মামলায় ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন নেন বাসুদেব ব্যানার্জী এবং তার স্ত্রী পাপিয়া ব্যানার্জী। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের আগাম জামিন দেন। কিন্তু, দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের এমন জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করে দুদক। ১৩ মে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত আগাম জামিন স্থগিত করেন। পরে ২৩ মে দুদকের করা আবেদন নিষ্পত্তি করেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারকের আপিল বেঞ্চ। তখন ৪ জুনের মধ্যে বাসুদেব ব্যানার্জী এবং তার স্ত্রী পাপিয়া ব্যানার্জীকে নিম্ন আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

২০২১ সালে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের পরিচালক বাসুদেব ব্যানার্জী ও তার স্ত্রী পরিচালক পাপিয়া ব্যানার্জীর বিরুদ্ধে এসব মামলা দায়ের করে দুদক। মামলার অন্যতম আসামি পিকে হালদার।

মামলাগুলোতে প্রায় ৭৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। অনিয়মের মাধ্যমে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আছে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে। বর্তমানে পি কে হালদার ভারতের কারাগারে আছেন। অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর পি কে হালদারকে ২২ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। একই সঙ্গে তার সহযোগী ও অন্যান্য অপরাধে অভিযুক্ত ১৩ সহযোগীকে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মামুন/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়