অতিরিক্ত কমিশনার খ মহিদ উদ্দিন
তর্কাতর্কির জেরে কনস্টেবল মনিরুলকে গুলি করে ‘হত্যা’
ড. খ মহিদ উদ্দিন
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) ড. খ মহিদ উদ্দিন বলেছেন, গুলশানের বারিধারায় ফিলিস্তিনের দূতাবাসের সামনে দুজন পুলিশ সদস্যের মধ্যে তর্কাতর্কির কারণে কনস্টেবল কাওসার কনস্টেবল মনিরুলকে গুলি করতে পারেন বলে প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে। নিহত মনিরুলের বাড়ি নেত্রকোনা জেলায়।
রোববার (৯ জুন) দুপুরে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
পুলিশের এই অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, নিহত মনিরুল ইসলামকে কাওসার ৮ থেকে ৯ রাউন্ড গুলি করেন। কাওসার মানসিক চাপে ছিলেন। পাশাপাশি এটা একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। দুজনের মধ্যে কোন বিষয়ে তর্কের জেরে সাময়িক উত্তেজনায় এমনটা হয়েছে বলে ধারণা করছি। কাওসার ও মনিরুলের মধ্যে ব্যক্তিগত কোনও বিরোধ ছিল না। কাওসার বেশ নিয়মতান্ত্রিক ছিলেন। এখন তিনি ভাবছেন, কীভাবে এটা হয়ে গেল। এ ঘটনায় সে অনুতপ্তও। আমরা তদন্ত করছি, এরপর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
এদিকে, তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার সাব-ইন্সপেক্টর মো. মান্নাফ আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহাম্মদ কনস্টেবল কাওসার আলীর ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, শনিবার (৮ জুন) রাতে গুলশান বারিধারায় ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে কনস্টেবল কাওসারের গুলিতে আরেক কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম নিহত হন। এ সময় জাপান দূতাবাসের গাড়িচালকসহ আরও কয়েকজন আহত হয় বলে খবর পাওয়া গেছে।
মাকসুদ/এএ/এনএইচ