পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতায় মাঠে থাকবে ডিএমপির কুইক রেসপন্স টিম 

আগামী ৩০ জুন সারাদেশে শুরু হবে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতা করতে রাজধানীর রাস্তায় থাকবে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কুইক রেসপন্স টিম। 

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে এইচএসসি পরীক্ষা উপলক্ষে সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। 

তিনি বলেছেন, ৩০ জুন এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য রোডভিত্তিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরীক্ষার্থীরা যেন সময়মতো পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছাতে পারেন, সেজন্য রোডে পরীক্ষার্থীদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। 

মুনিবুর রহমান বলেন, ঢাকা মহানগরে এইচএসসি পরীক্ষার ৮০টি কেন্দ্র আছে। পরীক্ষার কেন্দ্রমুখী যেসব রোড রয়েছে, সেখানে বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থা থাকবে। ‌পরীক্ষার্থীরা যেন নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারেন, সে প্রচেষ্টা থাকবে আমাদের। প্রধান সড়কগুলোতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালাতে দেওয়া হবে না। যেখানে পরীক্ষার কেন্দ্র বেশি, সেখানে কুইক রেসপন্স টিম বেশি থাকবে। কুইক রেসপন্স টিম বিভিন্ন রোডে থাকবে। যদি কোনো পরীক্ষার্থী কেন্দ্রে পৌঁছাতে দেরি করেন অথবা বিপদে পড়েন, সেখানে কুইক রেসপন্স টিম পরীক্ষার্থীদের দ্রুত কেন্দ্রে পৌঁছানোর কাজ করবে। 

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য কয়েকটি নির্দেশনা দেন। সেগুলো হলো: 

১। পরীক্ষার হলে রওনা দেওয়ার পূর্বে অবশ্যই প্রশ্নপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং কলম সাথে নিন। 
২। পরীক্ষার শুরুর আগের দিন কেন্দ্রের অবস্থান ভালো করে জেনে নিন এবং আপনার বাসা থেকে কোন রুটে যেতে হবে, তার পরিষ্কার ধারণা নিন। 
৩। পরীক্ষা শুরুর পূর্বে কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার জন্য পরীক্ষার্থী/অভিভাবকগণকে সড়ক-মহাসড়কের যানজটের বিষয়টি মাথায় রেখে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। 
৪। বাসা হতে এমনভাবে বের হতে হবে, যেন নূন্যতম ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানো যায়। 
৫। যেসব সড়ক পারাপারে রেল ক্রসিং আছে, তা বিবেচনা করে বাসা হতে সময় নিয়ে রওনা দেওয়া জরুরি। 
৬। আপনার বাসার বা পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশের সড়কে যদি কোনো খোড়াখুড়ি বা মেরামত কাজ চলে, তাহলে তা বিবেচনায় নিয়ে সময়মতো রওনা দিতে হবে। 
৭। পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকগণকে সাবধানতা অবলম্বন করে যানবাহনে চলাচলের অনুরোধ করা হলো। 
৮। কোনো অবস্থাতেই গণপরিবহনে ঝুলে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসা-যাওয়া করবেন না। 
৯। যে সকল পরীক্ষার্থী মোটরসাইকেলে পরীক্ষা কেন্দ্রে গমন করবেন, তারা অবশ্যই হেলমেট পরিধান করবেন। 
১০। পরীক্ষা কেন্দ্রে আগত পরীক্ষার্থীবৃন্দ যানজট বা কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যার সম্মুখীন হলে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের সহযোগিতা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। 
১১। ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার থেকে বিরত থাকুন, প্রয়োজনে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করুন এবং পুলিশের সহায়তা নিন। 
১২৷ রাস্তা পারাপারে জেব্রা ক্রসিং থাকলে ব্যবহার করুন। 
১৩। পরীক্ষাকেন্দ্রের আশপাশে অযাচিত পার্কিং না করে অভিভাবক/পরীক্ষার্থীদের ব্যবহৃত যানবাহন পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে দূরবর্তী নিরাপদ স্থানে পার্কিং করার জন্য অনুরোধ করা হলো। 
১৪। পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনের সড়কে দাঁড়িয়ে গেলে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। ফলে, অন্যান্য পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছাতে দেরি হয়। তাই, পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকগণকে কেন্দ্রের সম্মুখে প্রধান গেটে ও রাস্তায় না দাঁড়িয়ে ফুটপাতে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করা হলো। 
১৫। পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে আড্ডা দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। 
১৬। গত ১ বছরে মেট্রোরেল, এলিভেডেট এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা মহানগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় উল্লেখ্যযোগ্য
অবদান রেখেছে। যা পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রার্থীদের পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন রাখতে পারে। 
১৭। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের প্রতিটি জোন আলাদা আলাদা কুইক রেসপন্স টিম গঠন করবে এবং আলাদা ট্রাফিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। 
১৮। বর্তমানে বর্ষাকাল চলছে। অবশ্যই ছাতা, রেইনকোট কিংবা বৃষ্টি হতে রক্ষার প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি সাথে নিয়ে বাসা হতে বের হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। 
১৯। যে কোনো জরুরি প্রয়োজনে ৯৯৯ এ ফোন করুন।