ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

দুদ‌কের মামলা

স্বামী-স্ত্রী মিলেমিশে গ‌ড়ে‌ছেন অবৈধ সম্পদ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৩৭, ১ জুলাই ২০২৪  
স্বামী-স্ত্রী মিলেমিশে গ‌ড়ে‌ছেন অবৈধ সম্পদ

সম্পদের তথ্য গোপনসহ বিপুল প‌রিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভি‌যো‌গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সহকারী পরিচালক বদরুন নাহার ও তার স্বামী সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী কবির আহমেদের বিরু‌দ্ধে মামলা দা‌য়ের ক‌রে‌ছে দুর্নীতি দমন ক‌মিশন।

সোমবার (১ জুলাই) দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জিন্নাতুল ইসলাম বাদী হয়ে সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা- ১ এ সংক্রান্ত মামলা দুটি দায়ের করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে মামলায় দুদক আইন-২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (গবেষণা ও পরিসংখ্যান উইং) সাবেক সহকারী পরিচালক বদরুন নাহারের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রদানের প্রমাণ এবং পাঁচ কোটি ৭৬ লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৬ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দা‌য়ের করা হ‌য়ে‌ছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তা বদরুন নাহার এক কোটি ৩০ লাখ ৯৭ হাজার ৬৬৩ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। অবৈধ সম্পদ অর্জনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে তার সম্পদের বিবরণী তলব করা হ‌লে আসামি ২০২২ সালের ১৬ অক্টোবর তার সম্পদের বিবরণী দুদকে দাখিল করেন।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, আসামির নিজ মালিকানাধীন বনশ্রী, এফ ব্লকে ক্রয় করা ৩.৫ কাঠা জমির ওপর নির্মিত ছয়তলা বিশিষ্ট বাড়ি রয়েছে। যার নির্মাণব্যয় প্রদর্শন করেছেন ৮০ লাখ ৯৫ হাজার ৬০০ টাকা। কিন্তু বাড়িটি প্রকৌশলী দিয়ে পরিমাপ করে নির্মাণব্যয় পাওয়া যায় দুই কোটি ১১ লাখ ৯৩ হাজার ২৬৩ টাকা। এ ক্ষেত্রে আসামি এক কোটি ৩০ লাখ ৯৭ হাজার ৬৬৩ টাকার নির্মাণব্যয়ের তথ্য গোপন করেছেন।

এ ছাড়া, আসামি বদরুন নাহার তার সম্পদ বিবরণীতে আট কোটি ১৬  লাখ ৩২ হাজার ৬৫৬ টাকা মূল্যের সম্পদ প্রদর্শন করেন। যার মধ্যে মাত্র দুই কোটি ৩৯ লাখ ৭২ হাজার ৮২০ টাকার সম্পদের পক্ষে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় পাঁচ কোটি ৭৬ লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৬ টাকা। সবমিলিয়ে বদরুন নাহারের বিরুদ্ধে সাত কোটি সাত লাখ ৫৭ হাজার ৪৯৯ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর অবৈধ সম্পদের তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অপরে মামলায় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী কবির আহমেদ তার সম্পদ বিবরণীতে দুই কোটি ৭৯ লাখ ৯৬ হাজার ৮৫১ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য ঘোষণা করেন। ২০১৪-১৫ করবর্ষ থেকে ২০২১-২২ করবর্ষ পর্যন্ত তিনি ২০ লাখ ৬৯ হাজার ৬৮৯ টাকা পারিবারিক ও অন্যান্য খাতে ব্যয় করেছেন। সমুদয় ব্যয়সহ তার নামে অর্জিত সম্পদের পরিমাণ তিন কোটি ৬৬ হাজার ৫৪০ টাকা। এর মধ্যে দুদকের অনুসন্ধানে আসামির পক্ষে গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় এক কোটি ৯১ লাখ ৭৫ হাজার ৮১২ টাকা। অর্থাৎ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী কবির আহমেদ মোট ১ কোটি ৮ লাখ ১০ হাজার ৭২৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

নঈমুদ্দীন/এনএইচ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়