অবৈধ সম্পদ: ফেঁসে যাচ্ছেন চিত্রনায়ক শান্ত খান
চিত্রনায়ক শান্ত খান মেসার্স শান্ত এন্টারপ্রাইজের মালিক। ব্যবসা বাণিজ্যের আড়ালে ৩ কোটি ২৪ লাখ ৫৬ হাজার ৫০০ টাকার অবৈধ সম্পদ গড়েছেন তিনি। এসব সম্পদের আয়ের কোনও বৈধ উৎসও নেই। দুর্নীতি দমন কমিশনের দীর্ঘ অনুসন্ধানে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। তিন কোটি টাকার বেশি অবৈধ সম্পদের দায়ে ফেঁসে যাচ্ছেন চিত্রনায়ক শান্ত খান। তিনি চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ নম্বর লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সেলিম খানের ছেলে।
৩ কোটি ২৪ লাখ ৫৬ হাজার ৫০০ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও নির্ধারিত সময়ে সম্পদের হিসাব না দেওয়ার অভিযোগে শান্ত খানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (৩ জুলাই) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. আতাউর রহমান সরকার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, চিত্রনায়ক ও প্রো. মেসার্স শান্ত এন্টারপ্রাইজের মালিক শান্ত খানের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল সম্পদ বিবরণী দাখিল করার জন্য নোটিস দেওয়া হয়। তিনি ২১ কার্যদিবসের মধ্যে কমিশনের নির্ধারিত ছকে দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি। এমনকি, সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য সময় বৃদ্ধির আবেদনও করেননি। যা দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬(২) (ক) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সম্পদ বিবরণী জমা না দিলেও দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা তার স্থাবর অস্থাবর সম্পদের খোঁজে মাঠে নামেন।
অনুসন্ধানকালে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় শান্ত খানের নামে ১৩ কোটি ৫১ লাখ ৩৪ হাজার ২৭২ টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ২ কোটি ৩৭ লাখ ৮৫ হাজার ২২৮ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ১৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। এ ছাড়া, ২০১৮-১৯ করবর্ষ হতে ২০২২-২৩ করবর্ষ পর্যন্ত পারিবারিক ব্যয় পাওয়া যায় ১৯ লাখ ৩২ হাজার ৫০০ টাকা। সব মিলিয়ে মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৬ কোটি ৮ লাখ ৫২ হাজার টাকা। যার মধ্যে ১২ কোটি ৮৩ লাখ ৯৫ হাজার ৫০০ টাকা আয়ের বৈধ উৎস পাওয়া গেলেও ৩ কোটি ২৪ লাখ ৫৬ হাজার ৫০০ টাকার কোনও বৈধ উৎস পায়নি দুদক। যা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ বলে অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ও ২৬ (২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
দুদক জানায়, ২০২২ সালের ১ আগস্ট সাড়ে ৩৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং প্রায় ৬৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে
শান্ত খানের বাবা চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ নম্বর লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সেলিম খানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। এটি এখনও তদন্তাধীন রয়েছে।
নঈমুদ্দীন/এনএইচ
আরো পড়ুন
