ঢাকা     শনিবার   ৩১ আগস্ট ২০২৪ ||  ভাদ্র ১৬ ১৪৩১

চিকিৎসক সাখাওয়াতসহ ২১ জন কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৩৮, ১৮ জুলাই ২০২৪  
চিকিৎসক সাখাওয়াতসহ ২১ জন কারাগারে

গায়েবানা নামাজ শেষে অরাজকতা সৃষ্টির অভিযোগে পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থসহ বিএনপির ২১ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জাল হোসেনের আদালত আবেদন মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

কারাগারে পাঠানো অন্যান্য আসামিরা হলেন, দারুস সালাম থানার ১০নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম খান জুয়েল, তুরাগ থানার বিএনপির আহবায়ক মো. আমান উল্লাহ ভূইয়া তামান, দিল মোহাম্মদ, মো. নওয়াব আলী, দারুস সালাম থানায় ১২ নং ওয়ার্ড যুবদল সেক্রেটারি শেখ মর্তুজা আলী, রূপনগর থানার শ্রমিক দলের সেক্রেটারি মো. শামছুল আলম মিন্টু, বিএনপি নেতা এস এম মশিউর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন আহম্মেদ, মো. আবুল বাশার ভুইয়া, ফজলুর রহমান, ইকতারুল ইসলাম মিতু, মো. মাছুম, আমির হোসেন, মনির হোসেন, পটুয়াখালী জেলা যুবদলের যুগ্মা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আল আমিন সুজন, মো. কামরুল হাসান, মো. হামিদুর রহমান হাম্মাদ রারিব, রফিকুল ইসলাম, মো. ফয়েজ আহমেদ, সৈয়দ ইসমাইল হোসেন। 

আসামি পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ জানান, আসামিদের পক্ষে তারা জামিন চেয়েছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১৭ জুলাই জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে বিএনপি আয়োজিত গায়েবানা নামাজ  অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৪০০/৫০০ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। নামাজ শেষে তারা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইট দিয়ে বের হয়ে মিছিলসহ অরাজকতা সৃষ্টি করে। বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ধরনের রাষ্ট্র ও সরকার বিরোধী স্লোগান দিতে দিতে পল্টন মোড়ে আসলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য তাদেরকে অনুরোধ করে কর্তব্যরত পুলিশ। কিন্তু তারা অনুরোধ অমান্য করে পুলিশের প্রতি চরম মারমুখী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। তাদের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ও রাস্তায় থাকা যানবাহনে ভাঙচুর করে। 

ওই ঘটনায় পুলিশ উপপরিদর্শক মো. আলাউন হক বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিন উন নবী খান সোহেলসহ ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ৪০০/৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

 

ঢাকা/মামুন/শাহেদ


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়