গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের জামিন, কারামুক্তি শিগগির
ফাইল ফটো
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপির নেতা ও মেসার্স ওয়ান স্পিনিং মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন শুনানি শেষে জামিনের আদেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কোর্ট ইন্সপেক্টর আমির হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ৩০ জানুয়ারি যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। এর পর থেকে তিনি কারাগারেই আছেন। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, মানি লন্ডারিং, কর ফাঁকিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২০টির বেশি মামলা হয়।
২০১৩ সালে এক মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড হয় গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের। এর আগে অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ বছর কারাদণ্ড হয়েছে, যা পরে হাইকোর্ট বাতিল করে দেন। এছাড়া, অবৈধ সম্পদ অর্জনের এক মামলায়ও তিনি ১০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন।
গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের আইনজীবী হেলাল উদ্দিন জানিয়েছেন, সবগুলো মামলায় জামিন পেয়েছেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। মামলাগুলোতে যে সাজা হয়েছিল, তার চেয়ে বেশি সময় ধরে জেলে আছেন তিনি। কাশিমপুর কারাগারে যাচ্ছি। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি কারামুক্ত হবেন।
২০২২ সালের ২১ জুন ২১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের উপ-পরিচালক সুভাষ চন্দ্র দত্ত সমন্বিত কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মেসার্স ওয়ান স্পিনিং মিলস লিমিটেডের মালিকেরা ২০০৪ সালের ৪ নভেম্বর সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও স্থানীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে জামানত ছাড়াই ঋণপত্র খোলেন। ঋণপত্রের শর্ত না মেনে এলটিআর সৃষ্টি করে ৩২ কেটি ৬৭ লাখ ৯৪ হাজার ৬১২ টাকার যন্ত্রপাতি আমদানি করেন। কিন্তু, পরে ব্যাংকের টাকা পরিশোধ না করে তা আত্মসাৎ করেন। এ অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা করা হয়।
মামুন/রফিক