সঙ্কট থেকে উত্তরণের চেষ্টায় পুলিশ: অতিরিক্ত আইজিপি
পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক এ কে এম শহিদুর রহমান (ফাইল ফটো)
বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক এ কে এম শহিদুর রহমান বলেছেন, পুলিশ অবশ্যই বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাহিনী। পুলিশ ছাড়া এই সমাজব্যবস্থা চিন্তা করা যায় না। যে ক্রাইসিসে আমরা পড়েছি, সেটি থেকে উত্তরণের চেষ্টা আমরা করছি।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) রাত পৌনে ৮টায় রাজধানীর রাজারবাগে পুলিশের ঊর্ধ্বতন ও অধস্তন কর্মকর্তাদের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
এ কে এম শহিদুর রহমান বলেন, এই মুহূর্তে আমি রাজারবাগ পুলিশ লাইনে অবস্থান করছি। ডিএমপির বিভিন্ন থানা এলাকায় পুলিশ সদস্য নিহত-আহত হয়েছেন। তাদের লাশ বিভিন্ন থানায় পড়ে রয়েছে। আমরা তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করছি। অনেক লাশ আমরা রাজারবাগ পুলিশ লাইনে নিয়ে এসেছি। আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসব দাফনের জন্য নিজ নিজ ঠিকানায় পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। আমরা একটা ক্রান্তিকাল পার করছি।
তিনি আরও বলেন, আমি আমার প্রিয় সহকর্মীদের প্রতি অনুরোধ করব, বাংলাদেশের যে প্রান্তেই আপনারা থাকেন, নিজেদের নিরাপত্তা জোরদারের জন্য ইউনিট কমান্ডারদের অনুরোধ করব। পরিস্থিতি বিবেচনা করে ধীরে ধীরে আপনারা যার যার কর্মস্থলে নিয়োজিত হওয়া অব্যাহত রাখবেন। পুলিশ জনগণের বন্ধু, জনগণের জন্যই কাজ করে। পুলিশ ছাড়া আমারা কোনো সমাজ চিন্তা করতে পারি না।
দেশের ছাত্র-জনতার বিজয়ে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, ছাত্র-জনতা-রাজনীতিবিদসহ সর্বস্তরের মানুষকে আমি অনুরোধ করব, পুলিশের যে অতীতের ভুল-ভ্রান্তি, দোষ-ত্রুটি রয়েছে, তা দূর করে আমরা জনগণের সেবায় নিয়োজিত হবো আবারও৷ তাই, আপনাদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ, পুলিশকে সহযোগিতা করুন। পুলিশ সদস্যদের কাজ-কর্মে ফিরে আসার জন্য পরিবেশ তৈরিতে সহযোগিতা করুন৷
ডিএমপি’র কত সদস্য নিখোঁজ রয়েছেন, জানতে চাইলে এ কে এম শহিদুর রহমান বলেন, ডিএমপিতে আমরা এখন সঠিক পরিসংখ্যান দিতে পারছি না। এটা নিয়ে আমরা এখন ব্যস্ত আছি।
তিনি বলেন, পুলিশ জনগণের। জনগণের পাশেই থাকবে পুলিশ, এটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর পুলিশ প্রথম আক্রান্ত হয়। অনেক থানা থেকে পুলিশ সদস্যরা ফোন করে হাই কমান্ডের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছিলেন। কিন্তু, হাই কমান্ডার কেউ রেসপন্স করছিলেন না। পুলিশের যে শক্তি, সাধারণ সদস্য যারা, তাদের পাশে হাই কমান্ড থাকেনি। পুলিশ সদর দপ্তর, ডিএমপি সদর দপ্তর, ডিবি অফিসসহ পুলিশের বড় বড় স্থাপনা থানা অরক্ষিত অবস্থায় রয়ে গেছে। সেখানে আপনারা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবেন। আমরা চেষ্টা করছি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার। আজকে সারা দিনে আমাদের অনেক সদস্য নিরাপত্তার খাতিরে আত্মগোপনে চলে গেছেন। তাদেরকে আমরা নিরাপদে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। আমরা পুলিশকে নিজস্ব কর্মে নিয়োজিত করার চেষ্টা করব। আমরা সেনাবাহিনীর কাছ থেকে সাহায্য প্রার্থনা করছি, অনুরোধ করেছি একাধিকবার। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
মাকসুদ/রফিক