ঢাকা     রোববার   ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১৪ ১৪৩১

শেখ হাসিনাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা, এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১৯, ১৪ আগস্ট ২০২৪   আপডেট: ১৪:৫৯, ১৪ আগস্ট ২০২৪
শেখ হাসিনাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা, এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ

শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

নয় বছর আগে রাজধানীর উত্তরা থেকে অপহরণ করার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

বুধবার (১৪ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালতে এই মামলার আবেদন করেন ভুক্তভোগী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সোহেল রানা। আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।

মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক, সাবেক র‌্যাব ডিজি বেনজীর আহমেদ এবং র‌্যাবের অজ্ঞাত ২৫ সদস্যকে আসামি করার আবেদন করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

মামলার অভিযোগে বলা হয়, সোহেল রানা ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বন্ধু আশরাফুল ইসলাম রিংকুর সাথে উত্তরার পাঁচ নম্বর সেক্টরের এক নম্বর রোডে  ইসমাইল গ্যালারির সামনে অবস্থান করছিলেন। রাত ৮ টা থেকে সাড়ে ৮ টার দিকে একজন হাতে স্মার্টডিভাইসসহ এসে পরিচয় জানতে চান। তিনি পরিচয় দেন। পরে তাদের দুজনকে জরুরি কথা আছে বলে একটি গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যায়। গাড়িতে র‌্যাবের  পোশাক পরিহিত দুজনকে এবং আরও ১০/১১ জন বন্দুকধারিকে দেখতে পান। গাড়িতে ওঠার সাথে সাথে তাদের চোখ বেঁধে ফেলা হয়। হাতে হ্যান্ডকাপ পরানো হয়। সোহেল রানাকে গাড়িতেই বৈদ্যুতিক শক দিতে থাকে। আত্মচিৎকার যেন বাইরে না যায় এজন্য উচ্চ ভলিউমে ডিজে টাইপের গান চালিয়ে দেয়। কিছুক্ষণ পর রিংকুকে অজ্ঞাত স্থানে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ঘণ্টাখানেক পর সোহেল রানা বুঝতে পারেন তাকে কোনো এক বিল্ডিংয়ের আন্ডারগ্রাউন্ডে নিয়ে গেছে। এ সময় তারা খালেদা জিয়াকে নিয়ে গালিগালাজ করতে থাকেন। সেখানে গিয়েও তাকে শক দিতে থাকে। দুই ঘণ্টা পর ৩/৪ জন এসে তাকে ঝুলিয়ে মারতে থাকে। এতে জ্ঞান হারান তিনি। জ্ঞান ফিরলে তাকে আবার নির্যাতন করা হয়। তার নির্দেশে নির্বাচন কমিশনে আগুন দেওয়া হয়েছে কি না জানতে চান। তাকে আবারও শক দেওয়া হয় এবং মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। এভাবে তার ওপর নির্যাতন করা হয়। তাকে নামাজ পড়তেও বাধা দেওয়া হতো। ৬ জুন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টার দূরত্বে তাকেসহ কয়েকজনকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। ১৩ আগস্ট ভোর ৩ থেকে ৪ টার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাকে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। তখনো তার হাত ও চোখ বাঁধা ছিলো। পরে তিনি লোকজনের কাছে জানতে পারেন, তিনি রাজশাহীর গোদাগাড়িতে আছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) শেখ হাসিনাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে হত্যা মামলা করেন এস এম আমীর হামজা নামে এক ব্যক্তি।

/মামুন/এসবি/

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়