নবীন হত্যার মাস্টারমাইন্ড আহমদ ও সোহাইল

আহমদ হোসেন ও মোহাম্মদ সোহাইল
যুবদলনেতা নবীন তালুকদার হত্যার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহাইলকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
বুধবার (২১ আগস্ট) নবীন তালুকদার হত্যা মামলায় আহমদ ও সোহাইলকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর নাজমুল হাছান। রিমান্ড আবেদনে উল্লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, আহমদ হোসেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য এবং মোহাম্মদ সোহাইল সাবেক সামরিক কর্মকর্তা। তারা নবীন তালুকদার হত্যার মাস্টারমাইন্ড। সারা বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা রাস্তায় অবস্থান করলে আসামিদের নির্দেশে আন্দোলন দমন করার জন্য তাদের পরিকল্পনায় ও পরোক্ষ মদদে অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা এলোপাথারি গুলি করে। এতে নবীন তালুকদার গুরুতর আহত হন। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
আহমদ হোসেন ও মোহাম্মদ সোহাইলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন তদন্ত কর্মকর্তা। রাষ্ট্রপক্ষে মো. আসাদুজ্জামানও ১০ দিনের রিমান্ড চান। আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
আসামিদের কিছু বলার আছে কি না, জানতে চান বিচারক। মোহাম্মদ সোহাইল বলেন, ‘ঘটনার দিন আমি চট্টগ্রামে আমার কর্মস্থলে বসা ছিলাম। ঘটনার বিষয়ে কিছু জানি না। আমাকে ফাঁসিয়ে এ মামলায় গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসা হয়েছে।’ আহমদ হোসেনও ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন বলে দাবি করেন।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম শুনানি শেষে বলেন, ‘তারা সন্ধিগ্ধ আসামি। তবে, এটি হত্যা মামলা, রিমান্ড হবে।’ পরে আদালত প্রত্যেকের চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকালে গত ১৯ জুলাই পল্টন থানা এলাকায় পুলিশের গুলিতে যুবদল নেতা নবীন তালুকদার মারা যান। পরদিন তার স্ত্রী রুমা আক্তার মামলা দায়ের করেন।
মামুন/রফিক