ঢাকা     বুধবার   ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৩ ১৪৩১

‘বেনজীরের সম্পদ আম্বানির সম্পদের কাছাকাছি’

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৩০, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১৮:৫৪, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
‘বেনজীরের সম্পদ আম্বানির সম্পদের কাছাকাছি’

পু‌লিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ। ফাইল ছবি

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ যে পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন তা ভারতের আম্বানির সম্পদের কাছাকাছি বলে মন্তব্য করেছেন আইনজীবী।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে রাজধানীর খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান জনি হত্যা মামলায় রিমান্ড শুনানিতে এ কথা বলেন বাদীপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী।

এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক গোলাপ মাহমুদ তার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।রাষ্ট্রপক্ষে ইন্সপেক্টর মো. আসাদুজ্জামান রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন।বাদীপক্ষে ওমর ফারুক ফারুকীও ১০দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন।

শুনানিতে ওমর ফারুক বলেন, ‘এই আসামি মিয়া সাহেব হিসেবে পরিচিত।দীর্ঘদিন ডিএমপির কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৫-১৬ সময়ে যে আন্দোলন হয়েছিল, বিভিন্ন থানায় যত হত্যা, গুম, ক্রসফায়ার হয়েছিল তার হোতা।কি পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন জেনে অবাক হবেন।এক সময় বেনজীর দাম্ভিকতার সাথে বলতেন, সরকারের বিরুদ্ধে কেউ আন্দোলন করলে গর্ভ থেকে বের করে এনে গ্রেপ্তার করা হবে। সে যে পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন তা ভারতের আম্বানির সম্পদের কাছাকাছি। আছাদুজ্জামান মিয়া তারই উত্তরসূরী।তার ভাষাও বেনজীরের মতো ছিলো। তারা জনগণের দোসর।’

তিনি বলেন, ‘চেয়ারে বসে জনগণকে গুলি করে হত্যা, গুম করেছে। সরকারকে স্বৈরাচার করতে তার মতো কয়েকজন সাহায্য করেছে।কি পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছে পত্রিকায় সিরিজ নিউজ হয়েছে।তাকে জিজ্ঞাসা করেন কোথা থেকে এতো সম্পদ করেছে। প্রত্যেক সম্পদের পেছনে হত্যা, গুম, খুন রয়েছে।মানুষকে ভয় দেখিয়ে প্লট হাতিয়েছে। কোটি কোটি টাকা চাঁদা আদায় করতো ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে। দৃষ্টান্তমূলক সাজা হওয়া দরকার। এর মতো পুলিশ যেন আর জন্ম না নেয়।শেখ হাসিনাকে স্বৈরাচার বানিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা বানিয়েছে।হাসিনাকে সামনে রেখে এসব অন্যায়, অপরাধ করেছে।এদের শাস্তি হবে।আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তাদের ঢুকতে হবে ইনশাআল্লাহ।প্রাথমিক পর্যায়ে সে খুনি। তার সর্বোচ্চ রিমান্ড মঞ্জুর করা হোক।’

আছাদুজ্জামানের পক্ষে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার সাত দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে এদিন বিকেল ৩টা ৫৬ মিনিটের দিকে আছাদুজ্জামান মিয়াকে আদালতে নিয়ে আসা হয়।তাকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।পরে তাকে এজলাসে তোলা হয়।এ সময় আইনজীবীদের তোপের মুখে পড়েন আছাদুজ্জামান মিয়া।আইনজীবীরা তাকে গালিগালাজ করতে থাকেন।তাকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করতে থাকেন।পরে পুলিশ তাকে ঘিরে ধরে।৪টা ৯মিনিটের দিকে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়।পরে আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।রিমান্ড শেষে তাকে যখন এজলাস থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো তখন আইনজীবীরা তাকে মারতে উদ্যত হন।পুলিশ অনুরোধ করেন কোনো ধরনের হামলা না করতে।পরে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়।

/মামুন/সাইফ/

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়