ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৯ ১৪৩১

প্রাণনাশের হুমকিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ভুক্তভোগী নারী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৩১, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪  
প্রাণনাশের হুমকিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ভুক্তভোগী নারী

প্রতীকী ছবি

আগের একটি মামলা নিয়ে চাপে ছিলেন তিনি। এর মধ্যে আবারো ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা শিকার হন। আইনি সুরক্ষা পাওয়ার আশায় মামলা করেন ভুক্তভোগী ওই নারী।

ভুক্তভোগী ওই নারীর অভিযোগ, আসামিরা প্রভাবশালী। বিশেষ করে এক নম্বর আসামি শ্যামল হাসান রুবেল ছিলেন গ্রেপ্তার হওয়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সলিমুল্লা সলুর প্রধান সহযোগী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকায় সুজন নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলায় র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয় সলু।আসামি রুবেলের কারণেই পলাতক জীবনযাপন করছেন ভুক্তভোগী নারী।

গত ৪ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট করার জন্য যান ওই নারী। এ সময় তাকে স্বামী মো. রানাকে হত্যা মামলার আসামি সবুজ, শাহ আলমের সঙ্গে আসে নতুন দায়ের করা মামলার ১ নম্বর আসামি শ্যামল হাসান রুবেল, সাজ্জাদ, মল্লিক পারভেজ, পূর্বপরিচিত পলাশ, মো. হীরা, চাঁন মিয়া বেশ কয়েকজন তাকে ঘিরে ধরেন। তাদের সঙ্গে স্বামী হত্যা মামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল।

কেরাণীগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের সামনের রাস্তায় একা পেয়ে কথা আছে বলে তারা ওই নারীর গতিরোধ করেন। একপর্যায়ে সবুজ ও শাহ আলমদের বিরুদ্ধে করা পিটিশন মামলা তুলে নিতে বলা হয়। তাতে রাজি না হওয়ায় ওই নারীকে জোরপূর্বক অপহরণ করে সিএনজিচালিত অটোরিকশা উঠিয়ে ঝিলমিল প্রজেক্টের ভেতর পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে সবাই মিলে ধর্ষণচেষ্টা করেন। শ্যামল হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যার চেষ্টা করেন। গলা টার্গেট করে কোপ দিলে সরে যাওয়ায় বাম হাত কেটে যায়। ৮ থেকে ১০ ইঞ্চির মতো কেটে যায়, ধস্তাধস্তি ও ব্যাপক মারধরের শিকার নারীকে জামা-কাপড় টেনে ছিড়ে বিবস্ত্র করার চেষ্টা করা হয়।

তবে, ভুক্তভোগীর চিৎকারে পথচারী ও স্থানীয়রা এগিয়ে এলে সটকে পড়েন আসামিরা। চলে যাওয়ার সময় বলেন, ‘আজকে তুই কোনোমতে বেঁচে গেলি, কিন্তু মামলা তুলে না নিলে মেরে লাশ গুম করার হুমকি দিয়ে যান।’ এরপর স্থানীয় এক নারীর সহযোগিতায় মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ভুক্তভোগী নারী। পরবর্তী সময়ে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় উপস্থিত হয়ে চার দিন পর ৮ সেপ্টেম্বর ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেন ওই নারী। মামলা নম্বর ১৯/৫৮৩।

মামলার সূত্র মতে, আসামিরা হলেন, শ্যামল হাসান রুবেল, মো. সাজ্জাদ, মল্লিক পারভেজ, পলাশ, মো. হীরা, চাঁন মিয়া, সবুজ, শাহ আলম। ভুক্তভোগী নারীর বাড়ি নারায়ণগঞ্জের কুতুবপুরে।

এ বিষয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম বলেন, মামলাটি ঢাকা জেলা দক্ষিণ ডিবি পুলিশের হাতে তদন্ত ভার ন্যস্ত করা হয়েছে। ডিবি পুলিশ এখন মামলার অগ্রগতি ও আসামি গ্রেপ্তার সংক্রান্ত ব্যবস্থা নেবেন।

/মাকসুদ/এসবি/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়