বাপ-বেটির অবৈধ সম্পদের খোঁজে দুদক, বাদ নেই মুজিবুল হকও
বাহাউদ্দিন বাহার, তাহসিন বাহার সূচনা ও মুজিবুল হক
সাবেক রেলমন্ত্রী ও কুমিল্লা-১১ আসনের এমপি মুজিবুল হক এবং কুমিল্লা-৬ আসনের সাবেক এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, তার মেয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তাহসিন বাহার সূচনা এবং সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের পিএস মো. কামাল হোসেনের অবৈধ সম্পদের খুঁজে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
ইতোমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি টাকা আত্মসাৎ এবং নামে-বেনামে বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে পাচারের তথ্য পাওয়া গেছে। ফলে তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুদক জানায়, সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের বিরুদ্ধে টেন্ডার বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে রেলওয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎপূর্বক নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য পেয়েছে।
মো. জিয়া উদ্দিন নামে আইনজীবীর আবেদন ও টেন্ডার বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে দুদক।
অন্যদিকে, এমপি বাহার ও তার মেয়ে সূচনার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। বর্তমানে বাহার ও তার মেয়ে সুচনা পলাতক রয়েছেন।
সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের পিএস মো. কামাল হোসেনের অবৈধ সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুদক। তিনি সাবেক মন্ত্রী তাজুল ইসলামের সান্নিধ্যে এসে যেন আলাদিনের চেরাগ হাতে পেয়েছেন। শুধু কুমিল্লা নয়, পুরো স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সবকিছু দেখতেন তিনি। মন্ত্রীর উন্নয়ন সমন্বয়কারী ও ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) পরিচয় দিয়ে কামাল হোসেন টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, জমি দখল, সালিশ বৈঠক, ঠিকাদারি কাজে অনিয়ম, থানায় তদবিরসহ এমন কোনও অপকর্ম নেই করেনি। নামে-বেনামে সম্পদ গড়ে বিদেশে পাচার করেছেন তিনি।
নঈমুদ্দীন/এনএইচ